গরমে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে ভুলবেন না যেন। ছবি: সংগৃহীত।
শুরুতেই যে ভাবে ব্যাটিং শুরু করেছে গরমকাল, সহজে যে মাঠ ছেড়ে যাবে না সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। সুস্থ থাকতে তাই গরমে শরীরের যত্ন নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু শুধু শরীরের যত্ন নিলে হবে না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে রান্নাঘরও। ডায়েরিয়া, পেটের গোলমাল, বদহজমের সমস্যার সূত্রপাত কিন্তু সেখান থেকেই। ফলে হেঁশেল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আপস করলে একেবারেই চলবে না। কিছু পরামর্শ মেনে চললে হেঁশেল থাকবে জীবাণুমুক্ত।
১) বঁটি বা ছুরি দিয়ে সব্জি বা মাছ-মাংস কাটাকাটি করার সময়ে জীবাণু লেগে যেতে পারে। তাই এগুলিকে নিয়মিত জীবানুমুক্ত রাখাই বাঞ্ছনীয়। মাছ-মাংস কাটার সময় প্রাণীদেহ থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগজীবাণু লেগে যেতে পারে বঁটিতে। শাকেও অনেক সময়ে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু লেগে থাকে। তাই এই ধরনের সব্জি কাটার পরেও ভাল করে সাফ করতে হবে বঁটি।
২) বাসন ধুয়ে রাখা থাকলেও ব্যবহার করার আগে আর এক বার ধুয়ে নিতে হবে। আর অপরিষ্কার বাসন বেসিন বা সিঙ্কে পরিষ্কার না করাই ভাল। এতে সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। করলেও এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। স্টিলের বাসনের ক্ষেত্রে আগে থেকে গরম জলে চুবিয়ে রাখতে পারেন। কাঠের জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে পরিষ্কার করার সময়ে বেকিং সোডা, নুন ও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। বাসন ধোয়া হয়ে গেলে পুরোপুরি না শুকিয়ে আলমারিতে তুলবেন না।
রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করার কোনও বিকল্প নেই। ছবি: সংগৃহীত।
৩) রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করার কোনও বিকল্প নেই। একটি ছোট পাত্রে সাবানজল গুলে নিয়ে একটি ছোট ন্যাকড়া ভিজিয়ে মুছে নিন রান্নার স্ল্যাব, গ্যাস। অনেকের হেঁশেলে বিভিন্ন ধরনের তাক ও ড্রয়ার থাকে, সেগুলিও সাফ করুন নিয়মিত। রান্নাঘরে চিমনি থাকুক বা না থাকুক, দেওয়ালে তেলমশলা জমবেই। তাই নিয়মিত সাফ করতে হবে দেওয়ালও।