কমসময়ে হেঁশেলের কাজ সেরে ফেলুন বুদ্ধি করে। ছবি: সংগৃহীত।
রান্না করতে ভালবাসেন অনেকেই। তবে অফিস, বাইরের কাজ ইত্যাদি সামলে প্রতি দিন হেঁশেলে ঢোকার সময় পাওয়া যায় না। রান্না হল সময়সাপেক্ষ কাজ। মন দিয়ে না করলে খাবারে স্বাদ হয় না। আর রান্না সুস্বাদু না হলে তা খাওয়ার কোনও মানে নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে তাড়াহুড়ো করেই হেঁশেলের কাজ সারতে হয় অনেককেই। তবে একটু মাথা খাটালে কম সময়ে সুস্বাদু রান্না করা যায়। রইল তেমন কয়েকটি উপায়ের হদিস।
১) কী রান্না করবেন, সকালে উঠে সেটা ভাবতে গিয়েই অনেকটা সময় চলে যায়। তাই সময় বাঁচাতে আগের দিন রাতেই পরিকল্পনা করে রাখুন। সেই অনুযায়ী পারলে রাতেই রান্নার প্রস্তুতি খানিকটা এগিয়ে রাখতে পারেন। তা হলে সকালে রান্নাঘরে কিছুটা কম যুদ্ধ করলেও চলবে।
২) যখনই সময় পাবেন, রান্নাঘরটি গুছিয়ে রাখুন। মশলার কৌটো থেকে তরকারির ঝুড়ি, প্রতিটি জিনিস যথাস্থানে রাখুন। রান্নাঘর অগোছালো থাকলে কাজ এগোতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। হাতের সামনে সমস্ত জিনিস থাকলে রান্নাও দ্রুত হয়ে যাবে।
৩) খেতে বসার আগে খাবার গরম করাও বেশ ঝক্কির একটা কাজ। তবে খাবার গরম করার ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করাই ভাল। খাবার তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। আবার ছোটখাটো কিছু রান্নাও মাইক্রোওয়েভে করে নিতে পারেন। সময় কম লাগবে।
৪) রান্না করে দ্রুত হেঁশেল থেকে বেরিয়ে আসার উপায়। রান্না করার সময় হেঁশেলে যে তাণ্ডব চলে, তাতে তৈজসপত্র এ দিক ওদিক হয়ে যায়। সে সব গোছাতেও বাড়তি সময় ব্যয় হয়। রান্না শেষ হওয়ার পর পরিষ্কার করার কাজে হাত দিলে বেশি সময় নষ্ট হবে। তার চেয়ে রান্না করতে করতেই রান্নাঘর গোছেনোর কাজ সারতে থাকুন।
৫) রান্নাঘরে বেশি ক্ষণ সময় কাটাতে না চাইলে ছুটির দিনে বা অন্য কোনও ফাঁকা সময়ে বেশি করে রান্না করে রাখতে পারেন। ঝোল, ঝাল, তরকারি থেকে ভাজা— সবই একটু একটু করে ফ্রিজে রেখে দিলে রোজ রান্না করার দরকার পড়ে না।