কয়েক সেকেন্ডেই ধরা পড়বে ক্যানসার। কিন্তু কী ভাবে? ছবি- সংগৃহীত
ক্যানসার চিকিৎসায় যুগান্তকারী আবিষ্কার। এ বার গর্ভাশয়ের ক্যানসার ধরা পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। অস্ত্রোপচারের কাজে লাগে এমন একটি ছুরি দিয়েই করা যাবে রোগ নির্ণয়। গবেষকদের দাবি, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যাওয়ার মূলে রয়েছে রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়া। যা ক্যানসারকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও ভয়াল করে তুলেছে। ‘র্যাপিড ইভাপোরেটিভ আয়োনাইজ়েশন মাস স্পেকটোমেট্রি’ (সংক্ষেপে আরইআইএমএস) নামক বিশেষ প্রযুক্তিসম্পন্ন এই ছুরিটি অস্ত্রোপচারের সঙ্গে সঙ্গেই শরীর থেকে বাদ দেওয়া অংশটির মধ্যে ক্যানসার কোষের উপস্থিতি নির্ধারণ করতে সক্ষম।
বিশেষ এই ছুরিটির কার্যকারিতা সম্পর্কে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিশেষজ্ঞদের মত, শুধু ক্যানসার নির্ধারণ নয়, এই ছুরিটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন ফুসফুস, মলাশয় এবং লিভার থেকে সংগ্রহ করা টিস্যুকেও আলাদা করে চিনিয়ে দিতে পারে।
গর্ভাশয়ে ক্যানসার হতে পারে, এমন সন্দেহের তালিকায় থাকা ১৫০ জন মহিলার শরীর থেকে টিস্যু সংগ্রহ করে, সেই ফলাফল প্রাচীন ‘বায়োপসি’ পদ্ধতির সঙ্গে তুলনা করে গবেষকরা দেখেছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, ফল সন্তোষজনক।
পশ্চিমের দেশগুলিতে প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক মহিলা এই গর্ভাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অস্ত্রোপচাররের পর ‘বায়োপসি’ করে, তার ফল জানতে সময় লেগে যায় প্রায় দু’সপ্তাহ। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসা কী হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন রোগীর পরিবারের মানুষজন। সে ক্ষেত্রে ক্যানসারের চিকিৎসায় বিশেষ এই ছুরিটি যে নিসন্দেহে প্রয়োজনীয়, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। “শরীর থেকে বাদ যাওয়া অংশটির মধ্যে আদৌ তেমন কিছু আছে কি না, তা তুলনামূলক কম সময়ে নির্ভুল ভাবে জানা গেলে চিকিৎসা পদ্ধতিতে যেমন সুবিধা হয়, তেমন রোগীর পরিবারকেও আশ্বস্ত করা যায়,” বলে জানান মুখ্য গবেষক অধ্যাপক সাদাফ ঘাইম-মাঘামি।