প্রতীকী ছবি।
জীবন ধারণের জন্য এক এক জন মানুষকে বেছে নিতে হয় এক একটি পেশা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবিকা বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে না অনেকের কাছেই। ফলে দেখা যায়, একজন মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে এমন একটি কাজ করে চলেছেন যা আদৌ ভালবাসেন না তিনি। আবার এমনও হতে পারে যে, কাজের পরিবেশটিই হয়তো ইতিবাচক নয়। অনেকে আবার ভোগেন একঘেয়েমিতেও। এই সব সমস্যার সমাধান হিসেবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন নীচে উল্লিখিত পন্থাগুলি।
১। যদি কাজের অনুপ্রেরণা না পান, তবে আপনার কাজের এলাকায় নিজের জন্য কিছু ইতিবাচক এবং অনুপ্রেরণামূলক উদ্ধৃতি বা বার্তা পিন করা শুরু করুন। সর্বদা একটি পিন আপ বোর্ড রাখুন, যা আপনি চোখের সামনেই দেখতে পাবেন। এই জিনিসগুলি সাময়িক ভাবে কাজে উৎসাহ বোধ না করা মানুষকে কর্মমুখী হতে উৎসাহিত করে।
২। কিছু সহকর্মীর অন্যদের সম্পর্কে বাজে কথা বলার প্রবণতা থাকে এবং অনেকে অন্যদের সম্পর্কে অর্থহীন সমালোচনায় লিপ্ত হন। এই ধরনের লোকজনকে এড়িয়ে চলুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের আলোচনা সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কাজের উদ্যমকে নষ্ট করে দেয়।
প্রতীকী ছবি।
৩। একঘেয়ে নিয়মে একটানা কাজ করার বদলে বিরতি নিন প্রয়োজন মতো। রোজ একটু সময় রাখুন খেলাধুলো কিংবা বিনোদনের জন্য। কেউ ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন, কেউ কাটতে পারেন সাঁতার। তবে যাঁরা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটরের সামনে কাজ করেন, তাঁরা অবসরে বৈদ্যুতিন পর্দায় চোখ না রাখলেই ভাল করবেন।
৪। হতেই পারে আপনি এমন একটি কাজ নিয়ে আটকে আছেন, যা আপনি পছন্দ করেন না কিন্তু আপনার উপার্জনের জন্য এটির প্রয়োজন। প্রয়োজনের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন। এমন কিছু তো থাকতেই পারে, যা আপনি সবসময় করতে চেয়েছিলেন, একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি উদ্দেশ্য কিংবা একটি পথ যা হেঁটে দেখা হয়নি। সেটি অনুসন্ধান করুন।
৫। নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিন, যদি অদূর ভবিষ্যতে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট জীবিকা বেছে নেওয়ার ইচ্ছে থাকে তবে তার জন্য কাজ শুরু করতে হবে অবিলম্বেই। আপনি যদি অভিযাত্রী হতে চান তবে সপ্তাহান্তে ছোট ছোট ভ্রমণ কিংবা ট্রেক দিয়েই শুরু করুন। আপনি বই লিখতে চান, একটু একটু শুরু করে দিন অফিস থেকে ফিরে। ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখবেন না।