WhatsApp Scam

৫ উপায়: জানা থাকলেই সাবধান হতে পারবেন হোয়াট্‌সঅ্যাপ প্রতারণার ফাঁদ থেকে

বিভিন্ন অনলাইন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৮২ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী বিভিন্ন মাধ্যমে আসা ভুয়ো মেসেজে ক্লিক করেন। সেখান থেকেই যত সমস্যার সূত্রপাত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৭
Share:
These five tips will help you to identify a WhatsApp Scam.

বিপদ এড়াতে পারেন আপনিও। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে জালিয়াতির হারও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। অনলাইন প্রতারণার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল হোয়াট্‌সঅ্যাপ। সেই অ্যাপটিকে হাতিয়ার করেই আর্থিক প্রতারণার নানা রকমের ছক কষছেন জালিয়াতেরা। বিভিন্ন অনলাইন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৮২ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী বিভিন্ন মাধ্যমে আসা ভুয়ো মেসেজে ক্লিক করেন। তার পরেই অ্যাঙ্কাউন্ট হ্যাক কিংবা অর্থক্ষতির মতো ঘটনা ঘটে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই কিন্তু এই ধরনের বিপদ এড়িয়ে চলা যায়।

Advertisement

১) অচেনা ফোন নম্বর

ফোনে সেভ নেই, এমন নম্বর থেকে হোয়াট্‌সঅ্যাপ কল এলে সাবধান হয়ে যান। অনেকেই এমন অচেনা নম্বর দেখলে ফোন ধরেন না। বিদেশি কোনও নম্বর থেকে ফোন এলেও তা দেখে বোঝা যায়। অসুবিধে না থাকলে সেই নম্বরের ফোন না ধরাই ভাল।

Advertisement

২) পরিচয় জানুন

ব্যক্তিগত কোনও তথ্য কাউকে জানানোর আগে তাঁর পরিচয় ভাল করে জেনে নিন। কথায় অসঙ্গতি থাকলে বার বার যাচাই করুন। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিংবা এটিএমের পিন নম্বর দেওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে।

৩) তাড়াহুড়ো নয়

টাকাপয়সা জেতার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন প্রতারকেরা। ক্রমাগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিংবা পরিচয়পত্রের নম্বরের জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়টুকুও দিতে চান না। এই সময়ে তাড়াহুড়ো করা অনর্থক।

বাড়তি নিরাপত্তার জন্য হোয়াট্‌সঅ্যাপে রয়েছে ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন’-এর ব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত।

৪) সন্দেহজনক লিঙ্ক

মোবাইলে মাঝেমধ্যেই মেসেজ আসে যে, আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা জিতেছেন আর নির্দিষ্ট সংস্থা কর্তৃক পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করলেই নাকি পেয়ে যাবেন সেই মোটা অঙ্কের টাকা। এই ধরনের মেসেজের ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে প্রতারণার শিকার হওয়ার। তাই সাবধান! এমন সব প্রলোভন থেকে দূরে থাকাই ভাল।

৫) ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন’

বাড়তি নিরাপত্তার জন্য হোয়াট্‌সঅ্যাপে রয়েছে ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন’-এর ব্যবস্থা। হোয়াট্‌সঅ্যাপ হ্যাক করার ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই ব্যবস্থায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement