কখনও ওয়ার্ড থেকে শিশু উধাও হয়ে যাওয়া, কখনও লিফটের মধ্যে রোগীর আটকে পড়া, কখনও বা মাথার উপর থেকে পাখা খুলে পড়া। আবার কখনও রোগীর সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে এমন অভিযোগ নতুন নয়। পরিষেবার দাবি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের স্মারকলিপি, বিক্ষোভ চেনা ছবি এই হাসপাতালে। প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগীদের পরিষেবার মানোন্নয়নের বিষয়টি পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে কোন পর্যায়ে রয়েছে, বৃহস্পতিবার তা সরেজমিন খতিয়ে দেখল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধিদল। এই দলে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের উপ অধিকর্তা (হাসপাতাল প্রশাসন) বরুণ সাঁতরা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আরও দুই কর্তা। এ দিন তাঁরা হাসপাতালের আউটডোর, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাব-ওটি, বিভিন্ন বিভাগ ও হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন। পরে হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসক, নার্স ও সুপারকে নিয়ে বৈঠকও করেন। তাঁরা সকলেই কর্মীদের বলেন, কোনও একটা বিভাগের নয়, প্রত্যেকটি বিভাগেরই দায়িত্ব রয়েছে পরিষেবার মানোন্নয়নের প্রশ্নে। নিজের দায়বদ্ধতা অনুসারে প্রত্যেককেই কাজ করতে হবে। পরে বরুণবাবু বলেন, ‘‘আমরা মূলত পরিষেবার মানোন্নয়নের বিষয়টি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা দেখতে এসেছিলাম। কী ভাবে প্রত্যেকেই তাঁদের কাজের মান বাড়াবেন, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হাসপাতালকে পরিষেবার প্রশ্নে রাজ্য স্তরের তকমা দিতে পারব। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পরিষেবার মানের বিষয়টি পরিদর্শনের জন্য সুপারিশ করা হবে।’’ হাসপাতালের সহকারী সুপার শান্তনু মুখোপাধ্যায়ও জানান, হাসপাতালের পরিষেবার মান কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে।