হরেক কাবাবের সমাহারে সেজেছে অওধ ১৫৯০-এর অন্দর।
শীতের পড়ন্ত রোদ, প্রিয়জনের সঙ্গ আর রসনায় নানা রকমারি স্বাদের বিলাস— এই তিন অনুষঙ্গকে এক সুতোয় গাঁথা মানেই জীবনের ছোটখাটো পাওনাগুলো ঝলসে নেওয়া নিজস্ব উষ্ণতায়।
শহর কলকাতাও এমন আমেজ নিয়ে হাজির হয় শীতেই। খাওয়াদাওয়ার যে আদি পাঠে শহর অভ্যস্ত, তা ভেঙেচুরে নিজের মতো করে হেঁশেলের চরিত্র বরাবর বদলে এসেছে ভোজনরসিক বাঙালি। সেই বদলে এ বার নিজেদের শামিল করল ‘অওধ ১৫৯০’, তা-ও আবার সব্জি-মাছ-মাংস ঘিরে এক উৎসবের আবহে।
উদ্বোধন হয়ে গেল ‘দ্য গ্রেট অওয়াধি কাবাব ফেস্টিভ্যাল’। এমনিতেই বিরিয়ানি ও কাবাব—অওধের এই দুই ফেস্টিভ্যাল ঘিরেই ভোজনরসিকদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। টেব্ল-এ কোয়েল, মুর্গ সুতলি, গোস্ত নালি (মাটন দিয়ে তৈরি), পনির জাফরানি, ভারওয়ান আলু তন্দুরি, স্মোকড লবস্টার ইত্যাদি সামনে আসতেই তেমনই আগ্রহ প্রকাশ করে ফেললেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: নিরামিষেই স্বাদবদল, চটপট বানিয়ে নিন পনির কোফতা কাহিনি
‘শাজাহান রিজেন্সি’ মুক্তির চিন্তা সরিয়ে ‘আওধ ১৫৯০’-এর এই কাবাব ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন যেমন করলেন, তেমনই কাটিয়ে গেলেন অনেকটা সময়। জানিয়ে গেলেন, ছবি মুক্তির পরেও যে কোনও এক দিন এসে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করে যাবেন আওধের মোঘল ঘরানার অন্দরে।
আগামিকাল, ১৮ জানুয়ারি থেকেই আমজনতার জন্য খুলে যাবে এই কাবাব দুনিয়ার দরজা। চলবে আপাতত এক মাস। পরে ভোজনরসিকদের চাহিদা বুঝে আরও কিছু দিন বাড়তে পারে এই উৎসব। দু’জন খেতে খরচ পড়বে ৮৫০ টাকা, সঙ্গে অতিরিক্ত কর। বেলা বারোটা থেকে ৩.৩০ ও সন্ধে ৬.৩০ থেকে ১০.৩০ পর্যন্ত কাবাবপ্রেমীদের জন্য খোলা থাকবে এই রেস্তরাঁ।
এমনিতেই কমলা গার্লস স্কুলের ঠিক উল্টোদিকে হেমন্ত বসু সরণিতে অবস্থিতআওধে ১৫৯০-এর এই শাখা ঝাঁ চকচকে মুঘল কেতায় সাজানো। তার উপর এদের খাবারের স্বাদ ও পরিবেশনের কেতায় মনে হয়, এই বুঝি ওয়াজেদ আলি শাহ পর্দা সরিয়ে অভিবাদন জানিয়ে যাবেন তাঁর মুলুকে আসা অতিথিকে। এতটাই যত্ন ও ভালবাসায় ঠাসা এদের অন্দরমহল।
আরও পড়ুন: জিভে জল আনা মাছের কচুরি দিয়ে পাত সাজান অতিথির
সৃজিতের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা সেরে গেলেন আওধ-এর দুই কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরী ও দেবাদিত্য চৌধুরী। ‘চাউম্যান’-এর হাত ধরে ইতিমধ্যেই চিনা খাবারে বেশ নামযশ অর্জন করেছেন এই চৌধুরী ভাইরা। ‘আওধ১৫৯০’-এর হাত ধরে মুঘল খাবারেও কলকাতায় নিজেদের আলাদা এক প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন তাঁরা। এ বার আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, এ বার বাঙালি খাবারেও নিজেদের স্বাক্ষর জোরালো করার পথে এগচ্ছেন তাঁরা। বাঙালি খাবারের উচ্চ মানের রেস্তরাঁ বানানোর ব্লু প্রিন্টই ভিতরে ভিতরে তৈরি করছেন তাঁরা!