পড়ুয়াদের হয়ে পরীক্ষায় উত্তর টুকে দেবে ‘চ্যাটবট’ । ছবি- টুইটার
আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার পাসপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র পিটার স্নিপভ্যানগার্স পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েছিলেন এই রোবটটি কী ভাবে কাজ করে। কলেজের বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার উত্তর অনায়াসে ওই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ‘চ্যাটবট’টি দিতে পারে কি না, জানার চেষ্টা করেন। তাই সে দু’হাজার শব্দের একটি প্রতিবেদন লিখতে বলে ‘চ্যাটজিপিটি’কে। পিটার জানিয়েছেন, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে নির্ভুল ভাবে ২০০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন লিখে ফেলেছেন তিনি। সাধারণত, এই ধরনের বড় প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করতে পিটারের সময় লাগে প্রায় ১২ সপ্তাহ।
বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তি জগতে ‘এআই’ যে ভাবে সব ক্ষেত্রে তার নজির রেখে চলেছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষের জীবনে তার আসন পাকা। ‘এআই’-এর ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল, তা আন্দাজ করতে পেরেই ‘গুগল’, ‘মাইক্রোসফ্ট’-এর মতো সংস্থাও নিয়ে এসেছে তাদের নিজস্ব ‘এআই’।
মাইক্রোসফ্টের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘চ্যাটজিপিটি’ যে শুধু তাদের ব্রাউজ়ার ‘বিং’ এবং ‘এজ়’-এর গতি বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম, তা নয়। ঝড়ের গতিতে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করা, গানে সুর দেওয়া, বিভিন্ন প্রতিবেদন লেখার মতো কাজ সহজেই করে ফেলতে পারে।
শিক্ষকদের আশঙ্কা এই প্রযুক্তির জন্য পড়ুয়াদের জানার আগ্রহ বা শিক্ষা, দুই-ই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তবে পিটারের শিক্ষক জানিয়েছেন, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে এই প্রযুক্তি সাহায্য করলেও অভিনব ফল করতে মোটেও সাহায্য করবে না। তার জন্য নিজের মেধার উপরই নির্ভর করতে হবে।