ঘরে ঘরে এখন একটাই সমস্যা। কোমরের ব্যথা। কোমরের সমস্যায় কষ্ট পায়নি এমন মানুষ দেখাই যায় না। কষ্ট কেমন হয় তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। মাঝে মাঝে তো কোমরের ব্যথা এমনই হয় যে স্বাভাবিক কাজকর্মও শিকেয় ওঠে।
যদি বলা হয় কী কারণে কোমরে ব্যথা, তবে সিংহভাগ মানুষই আঘাতজনিত সমস্যা, কিডনির সমস্যা, নার্ভের সমস্যাকেই দায়ী করবে। কিন্তু যদি বলি শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দায়ী।
কী ভাবে মানসিক সমস্যা থেকে বৃদ্ধি পায় কোমরের ব্যথা?
মনের সুস্থতার সঙ্গে শারীরিক সুস্থতাও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। মানসিক সমস্যার সঙ্গে কোমরের ব্যথার একটা প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক টানাপড়েন, সম্পর্কের ভাঙন, মনের মধ্যে চেপে থাকা অসন্তোষ বা আক্ষেপ থেকে বৃদ্ধি পায় দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস। স্ট্রেস থেকে আবার মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। এই অবসাদই প্রতিফলিত হয় কোমরের ব্যথায়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে নার্ভগুলো রিল্যাক্সড অবস্থায় থাকতে পারে না। রক্ত বাহকগুলিও সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। কোমর বা পিঠের পেশিগুলিতে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। প্রভাব পড়ে অক্সিজেন সরবরাহে। পেশিগুলির মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ জমা হতে থাকে। সারাক্ষণ সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকতে থাকতে পেশিতে খিঁচ ধরে। তা থেকেই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে।
তাই কোমর ঠিক রাখতে সচেষ্ট হতে হবে আপনাকেও। দিনের একটা সময় অন্তত মেন্টাল রিল্যাক্সশেসনের দিকেও নজর দিতে হবে। পছন্দসই কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। আনন্দে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে কোমর বা শিরদাঁড়া ঠিক না থাকলে কোনও কাজই সুষ্ঠ ভাবে করতে পারবেন না। তাই ‘লুক আফটার ইয়োর মাইন্ড অ্যান্ড ব্যাক, দে উইল লুক আফটার ইউ।’