নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসারে, একজন শুক্রাণুদাতা সর্বোচ্চ ২৫ জন সন্তানের বাবা হতে পারেন। ছবি: প্রতীকী।
বয়স ৪১ বছর। এরই মধ্যে ৫০০ সন্তানের বাবা! সম্প্রতি নেদ্যারল্যান্ডের ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন নামক সংস্থা এমনই দাবি করেছেন। ‘ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন’ সংস্থাটি শুক্রাণুদানের মাধ্যমে সন্তানধারণে অপারগ দম্পতিদের সন্তানধারণে সাহায্য করে। সংস্থার দাবি, এই ‘সিরিয়াল ডোনার’ কেবল দেশি নয়, বিদেশি মহিলাদেরও সন্তানলাভের সুখ দেয়।
তবে সম্প্রতি সেই যুবকের এক সন্তানের মা আদালতে তাঁর এই শুক্রাণু দান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর সন্তানের মা আদালতে গিয়ে বলেছেন, ওই যুবককে আর শুক্রাণুদানের অনুমতি যেন না দেওয়া হয়। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসারে, একজন শুক্রাণুদাতা সর্বোচ্চ ২৫ জন সন্তানের বাবা হতে পারেন। তবে এর বেশি করলেও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে না। মহিলার দাবি, ‘‘যুবকের এই কাজের ফলে সন্তানের বিকলাঙ্গ হওয়ার এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে জন্ম নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।’’
জোনাথন এম নামক ওই শুক্রাণুদাতাকে ২০১৭ সালেই ডাচ সোসাইটি অফ অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলজি এই বিষয় সতর্ক করেছিল। সেই সময় সে ১০২ জন সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। কিন্তু সতর্কবার্তা পেয়েও মহৎ কাজ চালিয়ে যেতে চান।
জোনাথনের বিরুদ্ধে মামলাটির এখনও শুনানি হয়নি। ছবি: শাটারস্টক।
শুক্রাণুদানের মাধ্যমে সন্তানধারণে অপারগ দম্পতিদের সাহায্য করে এমন আরও একটি সংস্থা ‘ডোনারকাইন্ড’-এর চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই সপ্তাহে আমরা ৩০ জনেরও বেশি মায়ের ফোন পেয়েছি। তাঁরা সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চেয়েছেন, তাঁদেরকেও জোনাথনের শুক্রাণু দিয়েছি কি না। বিভিন্ন দেশের মহিলা ফোন করে এমন প্রশ্নই করে যাচ্ছেন আমাদের কাছে।’’
জোনাথনের বিরুদ্ধে মামলাটির এখনও শুনানি হয়নি। আদালত এই বিষয় আদৌ হস্তক্ষেপ করবে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মায়েরা।