আরশোলা দেখলেই ভয়ে সিঁটিয়ে যান অনেকে। অনেকে আবার শুঁয়োপোকা দেখলেই লাফিয়ে ওঠেন। বন্ধুবান্ধবদের কাছে হাসির খোরাকও হন। তবে জানেন কি এমন অনেক মানুষও আছেন যাঁরা সূর্যের আলোয় যেতে ভয় পান? একেবারে আতঙ্কিত হয়ে যান। অবাক হবেন না! এমন কিছু অদ্ভুত ফোবিয়ার কথাই জেনে নেওয়া যাক।
হোলিয়োফোবিয়া। এমন আতঙ্কে ভোগা মানুষজন সূর্যের আলো দেখলেই আঁতকে ওঠেন। শুধু কি সূর্যের আলো! যে কোনও উজ্জ্বল আলো দেখলেই তাঁরা ভয় পান। দিনের বেলা বাইরে বেরতেও ভয় পান এঁরা। যদিও বা দিনের আলোয় বাইরে বার হন, তবে গা-ঢাকা জামাকাপড় পড়েন, যাতে সূর্যের আলো না লাগে।
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রোজকার ডায়েটে শাকসবজি রাখা উচিত বলে অনেকেই তো পরামর্শ দেন! তবে সেই সবজিতেই যদি লুকিয়ে থাকে আতঙ্ক? অনেকেরই এমন ফোবিয়া রয়েছে। লাখানোফোবিয়ায় ভোগা মানুষ সবজি খেতে ভয় পান।
হাফেফোবিয়া। এই ফোবিয়ায় ভোগা মানুষজন কারও স্পর্শেই কেঁপে ওঠেন। কাউকে স্পর্শ করতেও এঁরা ভয় পান। স্পর্শের থেকে উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকেন এঁরা।
গথাম শহরের সুপারহিরো ব্যাটম্যানকে বার বারই বেগ দিয়েছেন জোকার। শেষমেশ ব্যাটম্যানের হাতে পরাস্ত হলেও জোকারের কীর্তিকলাপে কেঁপে উঠেছেন গথাম শহরের বাসিন্দারা। সে তো ছিল কমিক স্ট্রিপের কাহিনি। বাস্তবে জোকারের মুখ দেখলেই কেঁপে ওঠেন অনেকে। একে বলে কালরোফোবিয়া।
যে কোনও অপরিচিত জিনিসের প্রতিই ভয় তৈরি হয় নিয়োফোবিয়ায় ভোগা মানুষজনের। তা সে খাবারই হোক বা অন্য কোনও নতুন জিনিস। চিকিৎসকদের মতে, সম্ভবত জিনগত কারণেই এ ধরনের আতঙ্কে ভোগেন মানুষজন।
পিৎজা বা পাস্তায় চিজ থাকাটাই তো মাস্ট! তবে যাঁরা তুরোফোবিয়ায় ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা না-ও হতে পারে। কারণ, তাঁরা চিজ দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারদাবার এড়িয়ে চলেন। চিজের স্বাদ তো বটেই, এটি দেখলেও আতঙ্কে ভুগতে থাকেন তাঁরা।
যে কোনও ধরনের ব্রিজ থেকেই দূরে থাকেন এঁরা। কারণ, জিফাইরোফোবিয়ায় ভোগা এমন মানুষজনের আতঙ্ক হল ব্রিজ। ফলে, ব্রিজ রয়েছে এমন রাস্তাই এড়িয়ে চলেন এ ধরনের মানুষজন। ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চালানো, হাঁটা একেবারেই না-পসন্দ এঁদের।
অফিসে ঢুকেই লিফ্টের দিকে পা বাড়ান অনেকেই। তবে আসেন্ডোফোবিয়ায় ভোগা মানুষজন এমনটা কখনওই করেন না। লিফ্টে চড়তে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এঁরা। এমনকি, সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করতে ভয় পান তাঁরা।