ডিমের খোসায় লুকিয়ে আপনার হরেক সাংসারিক সমস্যার সমাধান। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
স্বাস্থ্যকর, প্রাণিজ প্রোটিনে ভরপুর ডিম পাতে পড়লে খুশি হন না এমন মানুষ কমই আছেন। শিশুরাও অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডিম বা ডিম দিয়ে তৈরি কোনও খাবারই বেশি পছন্দ করে। ডিম কেবল খাদ্য হিসাবেই নয়, রূপচর্চা সহায়ক নানা কারণেও গৃহস্থের ঘরে এর অবাধ যাতাযাত রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ডিমের চাহিদা এতটাই, ফ্রিজ নির্মাতারা আলাদা করে ডিম রাখার জায়গার কথা ভাবতে বাধ্য হন। তবে ডিম তো ব্যবহার করেন রোজই, কিন্তু ডিমের খোসাও যে নানা রকম প্রয়োজনে আসতে পারে তা জানেন? ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, কোলাজেন। এই সব যৌগ শরীরের নানা ব্যাধি, মূলত, ব্যথা-বেদনা সরাতে কাজে আসে।
জেনে নিন, কেবল ডিম নয়, ডিমের খোসাকেও কী ভাবে আপনার কাজে লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: আপনার এ সব ভুলের জন্যই সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ছে না তো?
আপনার টুথপেস্ট এ সব কাজেও ওস্তাদ! জানতেন?
ডিমের খোলায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। বা়ড়ির বাগানে বা কোনও গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচবে গাছ। ত্বক পরিচর্যাতেও ডিমের খোসা খুব কার্যকর। ডিমের সাদা অংশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। আপনার দরকারি ফেস প্যাক তৈরি। এ বার তা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। মুখে পুরনো দাগ বা ব্রণর সমস্যা থাকলে এই প্যাক সহজ সমাধান। কোনও কারণে চা বা কফি খুব ফুটিয়ে ফেলেছেন? তেতো হওয়ার ভয়ে ফেলে দেবেন না। ডিম ভেঙে তার খোসা ধুয়ে বড় টুকরোয় ভেঙে ছড়িয়ে দিন চা বা কফিতে। তার পর আরও একবার ছেঁকে নিন চা। ডিমের খোসার হায়ালুরোনিক অ্যাসিড টেনে নেবে তেতো ভাব।
বাসনের পোড়া দাগ দূর করতেও ডিমকে কাজে লাগান। বাসন ধোওয়ার সাবানের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। পোড়া দাগ গায়েব হবে সহজে। বাত বা গাঁটের ব্যথা কমিয়ে আরাম দেয় ডিমের খোসা। আপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন দুই রেখে দিন। গলে মিশে যাবে খোসা। এই মিশ্রণ লাগান ব্যথার জায়গায়। ব্যথা কমে আরাম পাবেন।