aids

মারণ এইচআইভির লক্ষণগুলি জানেন? সতর্ক হোন প্রথম থেকে

এই রোগের সংক্রমনের দু'-তিন মাসের মধ্যে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে। সেগুলিকে খেয়াল করেও সতর্ক হওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ১৩:৪৩
Share:

এডস প্রতিহত করার বিদ্যা এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি চিকিৎসা বিজ্ঞান। ছবি: শাটারস্টক।

এইচআইভি। নাম শুনলেই আঁতকে ওঠে সকলে। জীবন-মরণ সমস্যা তো বটেই, তার উপর রয়েছে নানা সামাজিক ছুঁতমার্গ, পুরনো সংস্কার। এইচআইভির একটি কারণ অবশ্যই অনিয়ন্ত্রিত যৌন সংসর্গ।কিন্তু আরও হাজারো কারণ রয়েছে এই সংক্রমণের, যদিও এই সহজ সত্য মানতে এখনও প্রস্তুত নয় ভারতীয় সমাজ।

Advertisement

এইচআইভি এমন এক সংক্রমণ যা তিলেতিলে শরীরে বাড়তে থাকে এবং ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। শরীরে কখন এই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে তা বলতে পারে না কেউ। এমনকি উপসর্গগুলিও চিহ্নিত করা যায় না সহজে।

ক্রমে শরীরে সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে একসময় জন্ম নেয় এডস, যাকে প্রতিহত করার বিদ্যা এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি চিকিৎসা বিজ্ঞান।

Advertisement

আরও পড়ুন: কারণে-অকারণে রক্তক্ষরণের শিকার হতে পারেন হিমোফিলিয়ায়, জেনে নিন কী করবেন

চিকিৎসকরা বলছেন বেশির ভাগ রোগী নিজের অজ্ঞতাবশত এই রোগকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান। অথচ প্রাথমিক ভাবে ধরা পড়লে এইচআইভি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যদিও এইচআইভির লক্ষণ গুলি ব্যক্তি ভেদে আলাদা তবুও এই রোগের সংক্রমনের দু'-তিন মাসের মধ্যে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে। সেগুলিকে খেয়াল করেও সতর্ক হওয়া যায়।

এইচআইভির প্রাথমিক লক্ষণগুলি জানেন?

কেবল অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গই নয়, এডস হয় আরও নানা কারণে।

দেখা গিয়েছে এইচআইভিতে আক্রান্ত বেশির ভাগ লোক প্রাথমিক ভাবে জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম প্রথম এই জ্বর প্রায় চার সপ্তাহ কাবু করে রাখে। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত ঘাম হয়। অল্প গরমেই জামা-কাপড় ভিজে যেতে পারে। এমনকি ঘুমের মধ্যেও অস্বাভাবিক ঘাম হয়। একই সঙ্গে ঘাম, জ্বর শরীরকে নাজেহাল করে তুলতে পারে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গির দিন আসন্ন, এখনই এ সব উপায়ে রুখে দিন অসুখ

এইচআইভি সংক্রমণের প্রথম বড় লক্ষণ হল, গলায় ব্যথা। এইচআইভি সংক্রমণ হলে শুরুতে গলায় অস্বাভাবিক ব্যাথা হয়। রোগীর ঢোক গিলতে বা কোনও খাবার খেতে কষ্ট হয়। এমনকি জল খেতেও অসুবিধা হয়। ক্রোয়েশিয়ার সংস্থা অ্যাক্টা ডার্মাটোভেনরল-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৮৮ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই গলায়, মাথায় রেশ দেখা দেয়। তীব্র প্রদাহ হতে শুরু করে চাকা চাকা হয়ে ফুলে থাকা জায়গাগুলিতে। এইচআইভি সংক্রমণ শুরু হলে শুরুর দিকে অনেকের বমি ভাব হয়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা যত কমতে থাকে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বমি ভাব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement