সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন না এমন অভিভাবক প্রায় নেই। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছচ্ছে কি না এটি জানাও খুব জরুরি। তার হাড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শৈশব থেকেই যত্নবান হতে হয়। রোজ কী কী খাবার তালিকায় রাখলে শিশুর কখনও ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না, জানেন? ছবি: শাটারস্টক।
শিশুর হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি ও মজবুতির জন্য তার খাদ্যতালিকায় রাখুন দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য। দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শিশু দুধ খেতে না চাইলেও ওষুধের মতো করেই দুধ খাওয়ানো উচিত বলে মত চিকিৎসকদের। একান্তই তা না হলে পনির, দই, ছানা, মাখন এ সব রাখুন তার খাদ্যতালিকায়। ছবি: শাটারস্টক।
কড়াইশুঁটির দানায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা তার হাড়ের পুষ্টিতে বিশেষ সহায়ক।সাধারণত, শীতের সবজি এটি, তাই শীতের নানা খাবারেই রাখুন কড়াইশুঁটির ছোঁয়া।এই দিয়েই বানিয়ে দিন শিশুর প্রিয় কোনও স্ন্যাক্স। রোজের ভাতের মধ্যেও এই কড়াইশুঁটি যোগ করে আনতে পারেন খাবারের নতুন স্বাদ।ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
পিনাট বাটার খেতে ভালবাসে শিশু? তা হলে তাকে আমন্ড বাটারে অভ্যস্ত করে তুলুন। আমন্ডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এক-তৃতীয়াংশ কাপ আমন্ডে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম মতো ক্যালসিয়াম মেলে। সন্তানকে দুধের সঙ্গেও দিন কয়েক টুকরো আমন্ড, খেতে ভাল বলে শিশুরা এই খাবার বেশ পছন্দও করে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
সামুদ্রিক মাছ, বিশেষ করে স্যামন, টুনা এ সব মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হলে তার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এ সব মাছ। এ সব মাছ দিয়ে নানা পছন্দসই স্যান্ডউইচ ও স্ন্যাক্স বানিয়েও দিতে পারেন তাকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
অনেক শিশুই মাছ পছন্দ করে না। অথচ সামুদ্রিক মাছের ক্যলসিয়াম তার বড় প্রয়োজন। এমন হলে সেই ঘাটতি ঢাকতে ডিম দিন শিশুকে রোজ। ব্রেকফাস্ট ছাড়াও দিনের যে কোনও সময়ই ডিম দিতে পারেন তাকে। একটি সিদ্ধ ডিমে ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
অনেক শিশু নিরামিষ পছন্দ করে, মাছ-ডিমে তাদের আগ্রহ নেই। তাদের জন্য রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন এক গ্লাস লেবুর রস। অস্থিবিদদের মতে, ১৫০ গ্রাম কমলালেবু বা মুসাম্বির রসে ৬০ মিলিগ্রাম মতো ক্যালসিয়াম থাকে। তাই শিশুর ব্রেকফাস্টে রাখুন এক গ্লাস লেবুর রস। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।