বেকিং সোডা কেবল ভাজাভুজিতে কড়কড়ে ভাব আনতে অথবা কেক-মাফিন তৈরিতে ব্যবহার হয় বলে ভাবেন? আদৌ কিন্তু তেমন নয়। বরং স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর দ্রব্যগুণও যথেষ্ট। জানেন কি, কোন কোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা? ছবি: শাটারস্টক।
বেকিং সোডায় রয়েছে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। যা হজমের গোলমালের সঙ্গে লড়ে যেতে পারে। তাই অম্বলের সমস্যা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। সোডা ওয়াটার খেলে তাই বদহজমের সমস্যা কমে। শরীর থেকে অম্ল এর পরিমান কমাতে এবং পি.এইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমায়। পেশীকে ক্লান্ত করে। এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসাবে বেকিং সোডা খুব উপকারী। জল ও সোডার মিশ্রণ খেলেই শরীরে ক্লান্তি কমে। ছবি: পিক্সঅ্যবে।
বাতের সমস্যায় ভোগেন? তা হলে বেকিং সোডা মেশানো খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। মূত্রে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে বাত কমাতে সাহায্য করে এটি। ছবি: শাটারস্টক।
মধু এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে প্রতি দিন মিনিট পাঁচেক লাগান ঠোঁটে। তার কালো ভাব দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়া বেকিং সোডা মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকের পুরনো ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। তবে বেকিং সোডায় নুন থাকায় এটি সপ্তাহে দিন দুয়েকের বেশি ব্যবহার করলে মুখ খসখসে হয়ে যায়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
দাঁতে ঘষুন বেকিং সোডা। এর মতো দাঁত পরিষ্কার আর অন্য কিছুতেই হয় না। পায়োরিয়ার সমস্যা মেটাতে, বা দাঁতের হলুদ ছোপ তুলতেও বেকিং সোডার ভূমিকা অনন্য। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।