নীরোগ শরীর আর ছিপছিপে চেহারা— এই দুইয়ের চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে। তাই ব্যস্ততার মাঝে আপনিও মেনে চলছেন স্বাস্থ্যকর ডায়েট, যাচ্ছেন জিমেও। কিন্তু এত চেষ্টাতেও লাভবান হচ্ছেন না? ভেবে দেখেছেন কি, আপনার ডায়েটটি আদৌ ‘স্বাস্থ্যকর’ কি না? তাতেই থেকে যাচ্ছে না তো বিপদের বীজ? ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই কম সোডিয়ামযুক্ত ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চান। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান কিন্তু এই অভ্যাস সমর্থন করে না। বরং চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ঠিক কতখানি সোডিয়াম প্রয়োজন তা না জেনে দীর্ঘ দিন কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমায়। বাড়ায় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। ছবি: শাটারস্টক।
সব্জি রান্নার সংস্পর্শে এলেই তার পুষ্টিগুণ হারায়— এমন বিশ্বাস থেকে অনেকেই সব্জি ভাপিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করেন। পুষ্টিবিদদের মতে, এমনটা কখনওই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং ভাল করে রান্না হওয়া সব্জি হজমে সাহায্য করে। কাঁচা বা ভাপানো সব্জির ডায়েট হঠাৎ অনেকটা ওজন ঝরালেও তাতে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভিতরে তৈরি হয় নানা অসুখ। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
অনেকেই রোগা থাকার ইচ্ছায় প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভর করেন। চিকিৎসকদের মতে, খাবার যতই স্বাস্থ্যকর হোক, তা কৃত্রিম উপায়ে প্রক্রিয়াজাত না হওয়াই ভাল। বরং এ সব খাবারে বাইরে থেকে যোগ করা হয় নুন বা চিনি, যা আদতে ক্ষতি করে শরীরের। অনেকেই সাপ্লিমেন্ট ফুড খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তা-ও ক্ষতি করে শরীরের বিপাক ক্রিয়ায়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
চিনির বদলে বাজারজাত কৃত্রিম শর্করায় (সুগার ফ্রি) শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে। বরং, পুষ্টিবিদদের মতে, একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত চিনি কোনও ক্ষতি করে না শরীরের। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি দিন গড়ে ৬-৭ চামচ চিনি শরীরে দরকার। বরং সুগার ফ্রি-র ফ্রুকটোজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। ছবি: শাটারস্টক।
ছিপছিপে চেহারার লোভে এড়িয়ে চলছেন দুগ্ধজাত সব খাবার? এতে ক্ষতি করছেন নিজেরই। গবেষণা বলছে, লো ফ্যাট সমৃদ্ধ দুগ্ধজাত খাবার শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি। ওজন কমানো থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা— সব উপকারই পাবেন এই ধরনের খাবারে। ছবি: শাটারস্টক।
রোগা হতেই হবে, তাই ডায়েট থেকে বাদ দিয়েছেন সব ধরনের ফ্যাট? জানেন কি, এতে কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে শরীরের? শরীরের লিপিড স্তর ঠিক রাখতে ও প্রদাহ কমাতে ফ্যাট খুব দরকারি। তাই রুটি, বাদাম জাতীয় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রাখুন ডায়েটে। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে দ্রবীভূত হতে অনেক সময় নেয়, তাই ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।