অফিস ডেস্কে বা বাড়ির রিডিং টেবলে এই গাছ অনেকেই রেখে দেন। সবুজের ছোঁয়া থাকে, দেখতেও ভাল লাগে। জেডের চাহিদাও খুব বেশি নয়। একে একে জেনে নিন, কী ভাবে পরিচর্যা করলে জেড ভাল থাকবে।
কী কী করবেন
• নিয়মিত জল দিলেও খেয়াল রাখবেন যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। এতে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। গাছের উপরের স্তর ১-২ ইঞ্চি মতো শুকনো থাকলে তবেই জল দিন। রোজ এই গাছে জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে গাছের পাতা মাঝেমাঝে জল স্প্রে করে ধুয়ে দিতে হবে।
• এই গাছের মাটি তৈরি করতে হবে সাকিউলেন্টসের মতো। পরিমাণ মতো পারলাইট মেশাতে হবে মাটিতে। আলাদা করে সার দেওয়ার দরকার পড়ে না। এ গাছ জল-হাওয়া পেলে এমনিই বাড়ে।
• তবে পোকা বা ফাঙ্গাস আক্রান্ত হতে পারে। তাই গাছের পাতার দিকে নজর রাখতে হবে।
• বাড়ির ভিতরেও রাখতে পারেন, বাইরেও। তবে এর উপরে যাতে সরাসরি সূর্যালোক না পড়ে, খেয়াল রাখবেন। কড়া রোদে রাখলে এই গাছের পাতা হলদেটে হয়ে যাবে। বিশেষ করে চারা সরাসরি সূর্যালোকে রাখা যাবে না। গাছ বড় হয়ে গেলে দিনে সর্বাপেক্ষা ৪ ঘণ্টার রোদ সহ্য করতে পারে। তবে গরমের রোদে না দেওয়াই ভাল। শীতে একটুআধটু রোদ খাওয়াতে পারেন।
• এই গাছ প্রপ্যাগেট করাও খুব কঠিন নয়। তার জন্য গাছের একটি পাতা ছিঁড়ে কাগজে মুড়ে কয়েক দিন অন্ধকারে রেখে দিন। সেই পাতা থেকে শিকড় বেরোতে শুরু করলে পারলাইট দেওয়া টবে উল্টো করে উপরে বসিয়ে রাখুন। শিকড় বাড়লে অল্প অল্প করে জল দিতে শুরু করুন। তবে প্রপ্যাগেশনের পরে নতুন পাতা গজাতে প্রায় দু’সপ্তাহ থেকে ১ মাস সময় লাগে।
জেড বহু দিন ভাল থাকে, যদি তার ঠিকমতো যত্নআত্তি করা যায়। এই গাছের চাহিদা কম হলেও সেগুলো মাথায় রাখা দরকার।