Healthy Life

সসেজ-বার্গারের প্রতি টান কমবে, নিত্য দিন ভাল খাওয়াও হবে, যদি সেকেলে অভ্যাসে ফেরা যায়

ওবেসিটি, ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগ, কোলেস্টেরল— সবই উস্কে দিতে পারে প্রক্রিয়াজাত খাবার। কী ভাবে রোজের জীবনে এড়িয়ে চলবেন প্রক্রিয়াজাত খাবার?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৯
Share:

৫ উপায়ে এড়িয়ে চলুন প্রক্রিয়াজাত খাবার। ছবি: সংগৃহীত।

অফিসের কাজের চাপে বেশির ভাগ দিনই বাড়ি ফেরার সময়ের কোনও ঠিক থাকে না। কখনও ৯টা, কখনও আবার ১১টাও বেজে যেতে পারে। সারা দিনের ক্লান্তির পর আর রান্না করার ইচ্ছা বা সময় কোনওটাই থাকে না। চিন্তা নেই, মুশকিল আসান করতে ফ্রিজে রয়েছে ‘রেডি টু ইট’ পাস্তা থেকে পিৎজ়া, সব্জি থেকে পরোটা, সবই। কেবল গরম করে নিলেই কেল্লাফতে। সময় বাঁচাতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে আমাদের ঝোঁক বাড়ছে। সময় বাঁচাতে ফ্রিজারে থাকে সসেজ, সালামি আর বেকন সবই খাওয়া হচ্ছে। সচেতন হলেও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তবে রোজের ডায়েটে এই খাবার রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল না। এ সব খাবারে অতিরিক্ত নুন ও চিনি দেওয়া থাকে, দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য মেশানো থাকে নানা ধরনের রাসায়নিক, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। স্থূলতা, ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগ, কোলেস্টেরল সবই উস্কে দিতে পারে এই সব প্রক্রিয়াজাত খাবার। কী ভাবে রোজের জীবনে এড়িয়ে চলবেন প্রক্রিয়াজাত খাবার?

Advertisement

১) ফ্রিজ প্রক্রিয়াজাত খাবারে ভরে রাখবেন না। বদলে বাজার থেকে টাটকা ফল ও শাকসব্জি নিয়ে এনে ফ্রিজে ভরে রাখুন। টাটকা খাবার সামনে দেখলে আর প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে ইচ্ছে করবে না। খিদে পেলে সামনে প্রক্রিয়াজাত খাবার না থাকলে টাটকা খাবারই বানিয়ে খেতে হবে।

২) কেনাকাটা করার সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। উচ্চ মাত্রায় ট্রান্সফ্যাট, নুন ও চিনি আছে এমন যে কোনও খাবার এডিয়ে চলুন। খাবারের সামগ্রীর প্যাকেট কিংবা কৌটোর গায়ে তার মধ্যে কী কী উপকরণ রয়েছে, তা দেখেই কেনার অভ্যাস করুন।

Advertisement

৩) সময় বাঁচাতে চটজলদি তৈরি করে ফেলা যায় এমন রেসিপি বানিয়ে ফেলুন। অফিসে যাওয়ার আগে সব্জি কেটে, মশলা তৈরি করে রেখে দিন। বাড়ি ফিরে রান্না করতে তা হলে খুব বেশি সময় লাগবে না। বাড়িতে তৈরি খাবার সুস্বাদু হবে আর স্বাস্থ্যকরও হবে।

হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) জলখাবার, দুপুরের খাবার কিংবা নৈশভোজে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিলেও সমস্যা হয় বিকেলে হালকা খিদে পেলে। তখনই চিপ্‌স, বার্গার, পিৎজ়া খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। তাই অফিস হোক বা বাড়িতে, হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যেমন ড্রাইফ্রুট, মাখানা ইত্যাদি রাখুন।

৫) প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলির স্বাস্থ্যকর বিকল্প রেসিপি খুঁজে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন। বাড়ির তৈরি খাবারে ট্রান্সফ্যাট থাকবে না। আপনি চাইলে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেই রেসিপি বানিয়ে ফেলতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement