ঘরে বসেই বাড়ির খোঁজ। ছবির একটি দৃশ্য। ফাইল চিত্র
চারপাশ যখন অস্তির হয়ে ওঠে, তখন বাড়ি ফিরতে চায় মন। যেখানে শান্তি পাওয়া যাবে, স্থিতি মিলবে। এ সময়ে শহরের বাইরে কাজের সূত্রে বাসা বাধা কত মানুষ তো তেমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করছেন। কিন্তু বাড়ি মানে কী? ঠিক কোন জায়গা কখন বাড়ি হয়ে ওঠে? চারটি দেওয়ালের মধ্যে থাকলেই যে শুধু বাড়িতে থাকা হয় না। শহুরে পরিকাঠামোয় এক-এক ধরনের চাহিদা নিয়ে চলে বাড়ির সন্ধান। তাতে যেমন কখনও উঠে আসে ভালবাসার খোঁজ, কখনও বা আসে সম্মান-যত্ন-অধিকারের কথা। করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানসিক অস্থিরতা বেড়ে চলেছে, তখন এই প্রশ্নগুলো অনেকের ক্ষেত্রেই ফিরে আসছে বলে জানাচ্ছেন মনোবিদেরা। এ বার সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৈরি হল একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি। পরিচালনায় এ শহরেরই এক শিল্পী।
চলছে ছবির কাজ। পরিচালক সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোহাগ সেন ও বিদীপ্তা চক্রবর্তী।
‘হোম’ নামের সেই ছবির পরিচালক সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানান, বাড়ির প্রসঙ্গ উঠলে তাঁর মনে নানা কথা ফিরে আসে। তাতে যেমন পুরনোকে ফিরে দেখা থাকে, এ সময়কে চেনার ইচ্ছাও থাকে। আর থাকে একাকিত্ব, লিঙ্গ বৈষম্যের মতো কথা কম বলা বিষয়। অতিমারির সঙ্কটের মাঝে নিজের কাছের জনেদের আগলে রাখা, বাড়িকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। তা ঘিরে মানসিক চাপ বাড়ছে রোজ। এমনই সময়ে কবি অরুন্ধতী সুব্রহ্মণ্যমের কবিতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এই ভাবনা নতুন দিশা দিতেও পারে। সেখানে এ শহরের মানুষের যাপন-ভঙ্গি দেখে বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে, বাড়ির অর্থ কী ভাবে বদলে বদলে যায়। কারও কাছে যেমন বাড়ি মানে পছন্দের বেশ কয়েকটা মুখ। তাতে আনন্দ। কারও কাছে আবার সেই বাড়ির ব্যাখ্যায় ঢুকে পড়ে স্বজনের সন্ধান। মনের ভিতরে নিয়মিত ঘুরপাক খেতে থাকা এমনই নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছে এই ছবি।