কেটে যাওয়া দুধ বহু কাজে লাগতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রিজে কিছু থাকুক বা না থাকুক, দুধের প্যাকেট থাকবেই। সকালের চা থেকে জলখাবার কিংবা বিশেষ দিন উপলক্ষে পায়েস বানানো— দুধ ছাড়া এক দিনও চালানো মুশকিল। তবে জ্বাল দিতে গিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায়, দুধ কেটে গিয়েছে। বেশি দিন প্যাকেটের দুধ না জ্বাল দিয়ে রেখে দিলে এমন সমস্যা হয়। কেটে যাওয়া দুধ ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। অনেকে সেই দুধ দিয়ে ছানা বানিয়ে নেন বটে, তবে সেই ছানায় তেমন স্বাদ হয় না। একটু বুদ্ধি খরচ করলেই কেটে যাওয়া দুধও নানা ঘরোয়া কাজে ব্যবহার করা যায়। জেনে নিন, কী ভাবে কাজে লাগাবেন কেটে যাওয়া দুধ।
১) দুধ কেটে গেলে তাতে টক ভাব আসে। লুচি, পরোটা, নান, কুলচার মণ্ড তৈরির সময় জলের বদলে কেটে যাওয়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এমনটা করলে লুচি বা নান নরম তুলতুলে হবে।
২) নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ সরাসরি খাওয়া যায় না। বাড়িতে বাগান বা গাছ বসানোর শখ রয়েছে কি? গাছকে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম দিতে এই দুধ ব্যবহার করতে পারেন। বাগানের জমিতে বা গাছের গোড়ায় এই দুধ ঢেলে দিন। গাছ তাড়াতাড়ি বাড়বে।
৩) দুধ কেটে গেলে তা দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিজ়। এ ছাড়াও বেশ কিছু মিষ্টির পদ, যেমন কেক, প্যানকেক, ওয়াফ্ল বানাতে গেলেও নিশ্চিন্তে এই কাটা দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
লুচি, পরোটা, নান, কুলচার মণ্ড তৈরির সময় জলের বদলে কেটে যাওয়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কেটে যাওয়া দুধ মানুষের খাদ্য নয়। কিন্তু বাড়িতে কোনও পোষ্য বিড়াল থাকলে তাকে এই দুধ খাওয়াতেই পারেন। কারণ, এই দুধে প্রোটিন ও ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়ায়, তা বিড়ালের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
৫) ত্বকের যত্নের জন্য অনেক রকমের ঘরোয়া রূপটান ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কাটা দুধ ব্যবহার করে দেখেছেন কি? এই দুধ ত্বকে লাগিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।