প্রতীকী ছবি।
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইদানীং পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। হঠাৎ করে এই প্রবণতার বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে কাজের ক্ষেত্রে অত্যধিক ধকল, শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ। সচরাচর এই কারণগুলিকে হৃদ্রোগের কারণ হিসাবে ধরা হয় না। কিন্তু এই সমস্যাগুলিই মহিলাদের মধ্যে হৃদ্রোগের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবিটিস, কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ধূমপান, শরীরচর্চা না করা— এই সব কিছুই আপনার হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। কিন্তু এ ছাড়াও কাজের চাপ বা ঘুম কম হওয়া আপনার শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
সাধারণত, পুরুষদের হৃদ্রোগের আশঙ্কাই তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। কিন্তু হালের গবেষণা অনুযায়ী, মহিলাদের মধ্যে হৃদ্রোগের প্রবণতা আকস্মিক রকম বেড়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বাড়ির পুরুষ এবং মহিলা দু’জনেই কাজ করা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে বাড়ির মহিলাদেরই বাড়ির কাজ এবং কেরিয়ার এক সঙ্গে সামলাতে হচ্ছে। যে কারণে তাঁর ক্লান্তির পরিমাণ, শরীরে এবং মনের উপর ধকলের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। অনুমান করা হচ্ছে, যে এই বাড়তি চাপ থেকেই হৃদ্রোগের উত্স। শেষ পাঁচ বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, সব লিঙ্গেরই হৃদ্রোগের প্রবণতা বেড়েছে, কারণ মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি এবং অবসাদের লক্ষণ বেশি দেখা গিয়েছে। এই শেষ পাঁচ বছরে, ঘুমের রুটিন নষ্ট হওয়ায় শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বহু মানুষকে।
অপর দিকে, প্রচলিত কারণে হৃদ্রোগের প্রবণতা আগের থেকে খুব কম না হলেও, সেই মাত্রার কোনও উত্থান হয় নি।