মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। —ফাইল চিত্র
সঙ্গীর সম্মতি ছাড়া মিলনের সময়ে কন্ডোম খুলে ফেলা আইনত অপরাধ। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে এই মর্মে পাশ হয়ে গেল বিল। এ বার নিম্ন কক্ষে পাশ হলেই আইন হিসাবে স্বীকৃত হবে এই প্রস্তাব। বিল পাশ হয়ে গেলে মিলনের সময়ে সঙ্গীকে না জানিয়ে বা তাঁর অনুমতি ছাড়া কন্ডোম খুললে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
সঙ্গীর সম্মতি ছাড়া কন্ডোম খুলে ফেলাকে ওই বিলে চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পার্লামেন্টের এক সদস্য কনি বরানোস বিলটি এনেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের কাজ ধর্ষণের থেকে কোনও অংশে কম গর্হিত নয়। তাই বহু আগেই এই ধরনের কাজে যাবজ্জীবনের মতো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। দু’হাজার জনের উপর মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। সমকামী পুরুষদের মধ্যেও রয়েছে এই প্রবণতা। প্রতি ৫ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। তাই কনির দাবি, বিষয়টি মোটেই বিরল নয়।
সঙ্গীর সম্মতি ছাড়া কন্ডোম খুলে ফেলাকে ওই বিলে চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র
বিলে লেখা হয়েছে, “কোনও ব্যক্তি নিরোধ-সহ শারীরিক মিলনে রাজি হওয়ার পর তা খুলে ফেলা প্রতারণার শামিল।” নতুন প্রস্তাবনায় এই কাজ ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। গত বছরেও একই ধরনের একটি বিল আনা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় বিল পাশ করানো সম্ভব হয়নি। এ বার অবশ্য সরকারের সমর্থন রয়েছে বিলে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল ক্যাম মাহের ইতিমধ্যেই মিলনের সময়ে সঙ্গীর অজান্তে এমন ঘটনা ঘটানোকে ‘কপটতা’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফলে নিম্নকক্ষেও বিলটি পাশ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে।