প্রতীকী ছবি।
কনে লজ্জা পাবে। যৌনতার বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকবে না। তবে তো সে সম্পর্ক আনন্দ দেবে!
এক কালে এমন ধারণা বেশ প্রচলিত ছিল। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সেই ভাবনার ফাঁদে কখনও না কখনও পড়েছেন অনেকেই। কিন্তু সমাজ বদলাচ্ছে। তার সঙ্গে বদলাচ্ছে অভিজ্ঞতা, ধারণা, ইচ্ছা, ভাল লাগা।
এ কালের নারীরা নিজেদের শরীর কিংবা মনের বিষয়ে বেশ সচেতন। তাই তাঁদের নিয়ে ব্রিটেনে চালানো হয়েছিল একটি সমীক্ষা। কোন বয়সে পৌঁছে নিজেদের যৌনচেতনা, চাহিদা সম্পর্কে তাঁরা সবচেয়ে সচেতন, তা বোঝার চেষ্টাতেই এই সমীক্ষা চালানো হয়।
চল্লিশে পৌঁছলেই অনেকে আগে ভাবতেন, নিজেদের সময় শেষ। আর নতুন করে ভাবার কিছু নেই। কিন্তু বিভিন্ন ডেটিং সাইটে দেখা যাচ্ছে দিন দিন পঞ্চাশ পার করা নারীরা বেশি নাম লেখাচ্ছেন।
ব্রিটেনের মনোবিদদের করা এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫৩ হল স্বর্ণসময়। এই বয়সের নারীরা নিজেদের শরীর ও মনের বিষয়ে সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী। নতুন শারীরিক সম্পর্ক থেকে নতুন কাজ, সবেতেই অনেক উৎসাহ। ৫৩ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, এ সময়ে নিজেদের শরীর নিয়ে লাজলজ্জা অনেকটা কেটে যায়। নিজেকে বেশি সুন্দরী মনে হয় তাঁদের।
প্রতীকী ছবি।
৫৩-র আঠেরো শতাংশ নারী আবার জানিয়েছেন যৌনতার অভিজ্ঞতার কথা। এই বয়সে নাকি আগের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ দেয় সঙ্গম। যৌন উত্তেজনাও বেশি অনুভব করেন তাঁরা। ৪০ শতাংশ আবার জানিয়েছেন তার কারণ। এই নারীদের বক্তব্য, কম বয়সে জানতেন না শারীরিক ভাবে ঠিক কী চান তাঁরা। এখন নিজেদের চাহিদা স্পষ্ট। ফলে যৌনমিলনে আগ্রহ বেশি।
সমীক্ষা শেষে গবেষকদের বক্তব্য, পঞ্চাশ পেরিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সে কারণেই তাঁদের যৌনচেতনাও বেশি জাগ্রত হয়।