প্রকাশ্যে ভালবাসা উদ্যাপন করেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার যে সম্পর্কগুলি রূপকথার জন্ম দেয়, শাহিদ কপূর আর মীরা রাজপুতের যৌথ যাপন তেমনই। দু’জনের দাম্পত্য সম্পর্কের বয়স আট বছর। দু’জনের সম্পর্কের রসায়নে মুগ্ধ অনুরাগীরা। ব্যক্তিগত পরিসরে যত সমস্যাই থাক না কেন, তা চার দেওয়ালের বাইরে বেরোতে দেন না দু’জনের কেউই। প্রকাশ্যে ভালবাসা উদ্যাপন করেন তাঁরা। দুই সন্তানকে নিয়ে প্রেমের আবহে বাঁচেন শাহিদ আর মীরা।
বিয়ের আগে শাহিদের জীবনে প্রেম কম আসেননি। সেটাই স্বাভাবিক। এমন এক জন ‘চকোলেট বয়’ নায়কের প্রেমে নায়িকারা মজবেন, তাতে তো কোনও ভুল নেই। শাহিদের চর্চিত প্রেমিকা ছিলেন করিনা কপূর। ‘জব উই মেট’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সেই সম্পর্ক ক্রমশ ঝাপসা হতে শুরু করে। কিন্তু তার পরেও চলতে থাকে সম্পর্কের গুঞ্জন। ২০১২ সালে করিনা নবাব পরিবারের বৌ হয়ে যাওয়ার পর, সেই গুঞ্জন বন্ধ হয়। তার পর শাহিদও আর দেরি করেননি। বছর তিনেক পরে ১৩ বছরের ছোট দিল্লির মেয়ে মীরার গলায় মালা দেন শাহিদ। সে বছরেই মেয়ের বাবা হন। বলিউডের সম্পর্ক নাকি ভাঙার জন্যই তৈরি হয়, দর্শকের এমন ধারণা বদলে দিয়ে একসঙ্গে প্রায় এক দশক কাটিয়ে দিলেন দু’জনে।
সম্পর্কের হাল যে শক্ত হাতে ধরেছিলেন মীরা, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তা বার বারই স্বীকার করেছেন শাহিদ। ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্কের হাল যে শক্ত হাতে ধরেছিলেন মীরা, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তা বার বারই স্বীকার করেছেন শাহিদ। অভিনেতা জানিয়েছেন, খারাপ কিংবা ভাল, মীরা সব সময়ে তাঁর পাশে থাকেন। সম্পর্কের যত্ন নিতে মানসিক ভাবে পাশে থাকা খুব জরুরি। দু’জনের বোঝাপড়াও খুব শক্তিশালী। ভুল বোঝাবুঝির কারণে কত সম্পর্কে ভেসে যায়। সম্প্রতি শাহিদ তাঁদের শক্তিশালী সম্পর্কের রহস্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘মীরা আমার কাছ থেকে সময় ছাড়া আর কিছু চায় না। ওঁর সত্যিই কোনও প্রত্যাশা নেই। সংসার, সন্তানদের বড় করা সবটাই একা হাতে করে মীরা। তা নিয়ে আমাকে কখনও কোনও অভিযোগ জানায়নি। সম্পর্কের ওঠানামা থাকবেই। কিন্ত খারাপ সময়ে সঙ্গীর হাত আরও শক্ত করে ধরতে হবে। সেই সময়ে মুঠো আলগা করলেই সম্পর্কের ভিত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’’