Parenting Tips

ভাল অভিভাবক হতে গেলে সন্তানের কোনও আচরণের কারণে রাগ, হতাশা না দেখিয়ে ওর মন বুঝতে শিখুন!

বাচ্চার দুষ্টুমিতে রাগ করে বকাবকি করার বদলে তাকে বোঝা জরুরি। সন্তানের মন, আবেগ বুঝলেই একজন যত্নশীল ও সচেতন অভিভাবক হয়ে উঠতে পারা সম্ভব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৪ ১৩:৩৯
Share:

সন্তানের আচরণে রেগে বকাবকির বদলে মন বুঝতে শিখুন। ছবি: সংগৃহীত।

খুদের দুষ্টুমি, দৌরাত্ম্য, অদ্ভুত সমস্ত কাণ্ডকারখানায় অনেক সময়ই মাথার ঠিক রাখতে পারেন না অভিভাবকেরা। বকাবকি করে ফেলেন, কখনও হয়তো হাতও উঠে যায়।

Advertisement

অন্য পক্ষে, খুদের মনেও অভিমান জমে। কিন্তু ছেলেমেযেকে বড় করে তুলতে গেলে দ্রুত ধৈর্য হারালে চলবে কী করে? বরং সন্তানের মন বুঝে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। হতে হবে সন্তানের প্রতি মনোযোগী।

কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই কিন্তু সন্তানের সঙ্গে বোঝাপড়া আরও ভাল হতে পারে। বাবা-মা ও খুদে মিলে তৈরি হতে পারে সুখী পরিবার।

Advertisement

১. সন্তানকে সুস্থ ও ভাল ভাবে বড় করার জন্য বাবা-মাকেও হতে হবে সচেতন। খুদের সমস্ত দুষ্টুমি মুখে বুজে সহ্য করা বা নিজের রাগ, খারাপ লাগা প্রকাশ না করা— এগুলো তার উপায় নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ধৈর্যশীল হওয়াটা দরকার। হয়তো সে এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়েছে, যার জন্য মাথাগরম হওয়া স্বাভাবিক। তবে প্রচণ্ড বকাবকির বদলে তাকে বুঝিয়ে বলা দরকার, কেন কাজটা ভুল। এই ভুলে কী ক্ষতি হয়েছে বা হতে পারত।

২. খুদের মনে অনেক কৌতূহল থাকে। তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জরুরি। তার মন কী চাইছে, বুঝতে চেষ্টা করলে তার সঙ্গে বোঝাপড়া ভাল হয়। সন্তানকে বলতে দিন। আগেভাগে কোনও রকম বিচারে না গিয়ে, শুনুন তাঁর কথা। বোঝান যে, আপনি তার পাশে রয়েছেন।

৩. ডিজিটাল মিডিয়ার প্রতি ঝোঁক খুব কম বয়স থেকে তৈরি হচ্ছে এখন। একদম ছোট বেলায় থাকে নানা রকম কার্টুন দেখার বায়না। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইল বা ট্যাব দেখা চোখের জন্য ভাল নয়। অভিভাবক ও সন্তান মিলে ঠিক করুন, কোন সময় কে মোবাইল দেখবে, কত ক্ষণ দেখবে। সেই সময়ে একে অন্যকে কোনও ভাবেই বিরক্ত করা যেন না হয়!

৪. সন্তানের ছোট সাফল্যও উদ্‌যাপন করুন, কারণ এতে বাচ্চা কাজে উৎসাহ পাবে। আবার একই সঙ্গে ব্যর্থতা নিয়েও কথা বলা জরুরি। কেন সেটা হল না, কী হলে ভাল হবে, সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন। ভুল থেকে শেখা যায়, সেই শিক্ষাটা শুরু থেকে তাকে দেওয়া জরুরি।

৫. খুদে সদস্যের কিন্তু আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা থাকে না। বাবা-মা হিসাবে সন্তানের প্রতিক্রিয়ায় রাগ করার বদলে সহনশীল হওয়া দরকার। বরং সে যাতে মনের কষ্ট, অনুভূতিগুলি সঠিক ভাবে বলতে পারে, সে বিষয়ে উৎসাহ দিতে হবে।

এই সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই সন্তানের সচেতন অভিভাবক হয়ে ওঠা সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement