বিয়ের চার বছর পরেও কুমারিত্ব হারাননি এই মহিলা!
অনলাইনে আলাপ, তার পর বন্ধুত্ব আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। এমন ঘটনা প্রায়শই কানে আসে। অনলাইনে আলাপ, চট করে বিশ্বাস করে ফেলার পরিণতি ভাল না-ও হতে পারে। ২৫ বছরের এক তরুণীর গল্পও ঠিক সে রকম। সম্প্রতি নিজের পরিচয় গোপন রেখে নেটমাধ্যমে নিজেই এই গল্প সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সেই মহিলা।
অনলাইনে বন্ধু বানাতে ভালবাসতেন তিনি। ফেসবুকে এক জনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বন্ধুত্ব এতটাই গাঢ় হয়ে যায় যে, সেই মহিলা তাঁর বন্ধুকে নিজের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করেন। সেই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে মহিলার মনে সেই বন্ধুর প্রতি কোনও প্রেমভাব ছিল না। কিন্তু সেই ব্যক্তি এতটাই ভাল ব্যবহার করতে শুরু করেন, তাঁর এতটাই যত্ন নিতে শুরু করেন যে, মহিলা নিজের মনোভাব বদলাতে বাধ্য হন। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন!
এই পর্যন্ত সবটা ঠিকই ছিল, তবে বিয়ের পরেই শুরু হল সমস্যা। বিয়ের পর প্রথম রাতেই মহিলা বুঝতে পারেন, তাঁর স্বামীর শারীরিক মিলনের প্রতি কোনও আগ্রহ নেই। প্রথম দিকে মহিলার মনে হত, হয়তো কাজের চাপ বা মানসিক অবসাদের কারণে এমনটা হচ্ছে। কিন্তু যখন তিনি খোলাখুলি স্বামীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলেন, তখনই শুরু হল মারধর, শারীরিক নির্যাতন।
তাঁর স্বামী কি কোনও অন্য সম্পর্কে জড়িত, তিনি কি সমকামী— এই ধরনের নানা প্রশ্নই আসে মহিলার মনে। তবে কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর পাননি তিনি। বিয়ের চার বছর পরেও তিনি এখনও কুমারীত্ব হারাননি। সব কিছু মিলিয়ে তিনি অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন বহু দিন ধরে। অবশেষে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছেন। নেটমাধ্যমে আলাপের পর বিয়ে করার এমন পরিণতি হতে পারে, সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মহিলা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।