প্রতীকী ছবি।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্ত্রীর মুখ দাগছোপে ভরে গিয়েছিল। স্ত্রী আর আগের মতো ‘সুন্দর’ নেই। এই কারণ দেখিয়ে বিচ্ছেদ চাইলেন স্বামী! সম্প্রতি শুভম অগরওয়াল নামে এক যুবক তাঁর ব্লগিং সাইটে এমন এক ঘটনার কথা তুলে ধরেন। ওই তরুণী তাঁর ছোটবেলার বান্ধবী। একসঙ্গেই বড় হয়েছেন দু’জনে।
বছর খানেক আগে বেশ ঘটা করেই বিয়ে করেন ওই দম্পতি। বিয়ের পর সম্পর্কের সমীকরণও ঠিকঠাকই ছিল। নিজেদের মতো করে সংসার গুছিয়ে নিচ্ছিলেন। মাস দু’য়েক আগেই হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। কিছু দিন পর থেকেই মুখে দাগছোপ বেরোতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সারা মুখে দাগে ভরে যায়। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, এই দাগ কোনও ভাবেই তোলা সম্ভব নয়।
তার পর থেকেই স্ত্রীর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছিলেন ওই যুবক। কথায় কথায় ঝগড়া করতেন, অর্ধেক সময় বাড়িতে থাকতেন না, অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতেন। এমনকি, সাধারণ কর্থাবার্তা বলতে গেলেও রেগে যেতেন। স্বামীর এমন আচরণের কারণ প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না স্ত্রী। পরে অবশ্য বুঝতে পারেন আসল কারণ। স্বামী যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, সেটাও বুঝতে পারেন স্ত্রী।
ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। যতই খারাপ সময় আসুক, সারা জীবন একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করে নতুন সফর শুরু করেছিলেন দু’জনে। চেহারায় বদল আসায় সেই অঙ্গীকার এত তাড়াতাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে, তা কল্পনাও করেননি ওই তরুণী। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে এই মরে যাওয়া সম্পর্ককে যে আর কোনও ভাবেই বাঁচানো যাবে না, তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন। তাই স্বামী ডিভোর্স চাওয়ায় আর দেরি করেননি। সম্মতি দিয়ে দেন। দু’জনের যৌথ সিদ্ধান্তেই সম্পর্কে দাঁড়ি টানেন। টুইটারে অনেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। মানুষ কী ভাবে এমন অমানবিক হতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।