অবাধ্য সারমেয়কে শান্ত করবেন কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।
সারমেয় ডাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, সেটাই তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশের ভঙ্গিমা। রাগ হোক বা ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ, সারমেয় ডেকে, আচরণের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ডাকের বিভিন্ন অর্থ হয়। কিন্তু পোষ্য যদি বেশির ভাগ সময় ডেকেই চলে, তার কী অর্থ? বিষয়টি কি স্বাভাবিক?
বাড়িতে কোনও অতিথি এলে কোনও সারমেয় এক-আধ বার ডেকে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে যায়। আবার কোনও কোনও কুকুরের আচরণ হয় ঠিক উল্টো। অতিথি দেখলেই গায়ে উঠতে চায়। প্রবল স্বরে ডাকতে থাকে। হিংস্র ভাব ফুটে ওঠে। এই আচরণ শান্ত করার জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ দরকার।
তবে সারমেয় যদি অতিরিক্ত ডাকতে থাকে, তার কারণ ভিন্ন হতে পারে বলছেন পশুচিকিৎসক ঐশ্বর্য আর। অসুস্থতা, যন্ত্রণা, ভয় পাওয়া, মনোযোগ আকর্ষণ-সহ নানা কারণে সারমেয় ডাকতে পারে। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ, এমনটা যদি নিয়মিত চলতে থাকে তবে অবশ্যই সারমেয়র শারীরিক পরীক্ষা জরুরি। ঐশ্বর্য বলছেন, ‘‘পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বুঝতে পারবেন, সারমেয়র কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে কি না। সেইমতো তিনি চিকিৎসা করবেন।’’
কী ভাবে সারমেয়রকে শান্ত করবেন?
কোনও অসুখ বা শারীরিক সমস্যা না হওয়া সত্ত্বেও সারমেয় ডাকতে থাকলে তাকে শান্ত করার জন্য নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ঠিক যেমন মানবশিশুর বায়না বা কান্না সামলাতে হয় তাকে ভুলিয়ে, এ-ও অনেকটা তাই।
· অকারণে সারমেয় ডাকতে থাকলে, তাকে বাধা না দিয়ে ডাকতে দিলে তা বদভ্যাসের কারণ হতে পারে। কোনও ভাবেই এই বিষয়ে তাকে উৎসাহিত করা যাবে না।
· রাগের মাথায় চিৎকার নয়, বরং তার সঙ্গে শান্ত ভাবে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। শান্ত অথচ দৃঢ় স্বরে সারমেয়কে থামার নির্দেশ দিতে হবে। চুপ করলে তাকে পছন্দমতো খাবার বা উপহার দেওয়া যেতে পারে। পুরস্কারের প্রলোভন অনেক সময় খুব কার্যকর হয়।
· সারমেয়কে অন্যমনস্ক করে দেওয়ার জন্য কিছু খেলনা সামনে দিতে পারেন। মনের মতো জিনিস পেলে কুকুর তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
· কখন ডাকবে, কখন নয়, এটিও সারমেয়র আচরণগত শিক্ষা। এ জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
· সারমেয়কে নিয়মিত শরীরচর্চা করালেও তার অতিরিক্ত দৌরাত্ম্য, ডাকাডাকির শক্তি খানিক কমতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, কোনও কিছুতে সে অস্বস্তি বোধ করছে কি না বা উদ্বেগে রয়েছে কি না।
· পশু চিকিৎসক বলছেন, ‘‘অতিথির সামনে ডাকতে শুরু করলে তাকে সকলের সামনে বকা বা অন্য ঘরে চেন দিয়ে আটকে রেখে শাস্তি দেওয়াও ঠিক নয়। বদলে তাকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে।’’