‘শাদী কে সাইড এফেক্টস’ ছবির দৃশ্যে ফারহান আখতার ও বিদ্যা বালন স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। ছবি: সংগৃহীত।
এক ছাদের নীচে থাকতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। সম্পর্ক বিষয়ক পরামর্শদাতাদের মতে, মনে রাগ পুষে রাগা মোটেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভাল না। বরং ঝগড়া করলে মন হালকা হয়, জমা কথা এক নিমেষেই বেরিয়ে পড়ে। অবসান হয় কত পুষে রাখা রাগ, অভিমানের। এমন অনেক সময়েই শোনা যায় যে, কথা হয়নি বলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বহু দিনের সম্পর্ক। ঝগড়ার ঠিক পরের মুহূর্তগুলি কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সময়। মধুর সম্পর্ক ভেঙে যেতে একটা ভুলই যথেষ্ট। সেই কারণেই ঝগড়ার পরমুহূর্তে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই অতিরিক্ত সাবধান হতে হবে। জেনে নিন কী ভাবে একে অপরের সঙ্গে মিটমাট করবেন? আর ঝগড়া শেষে কোন কোন কাজ ভুলেও করবেন না?
ঝগড়া শেষে কী কী করবেন আর কী কী করবেন না?
১) ঝগড়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিটমাট করতে যাবেন না। একে অপরকে সময় দিন। মাথা ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন ঠিক কী কারণে সমস্যা হয়েছে, কী করলে ঝগড়া এড়ানো যেত। কিছুটা সময় নিলে দু’জনের মন থেকেই ধীরে ধীরে ঝগড়ার রেশ কমে যাবে।
২) ঝগড়ার পরেই দরজায় খিল আটকে বসে থাকেন অনেকে। কথাবার্তা তো দূরের কথা, একে অপরের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। এই কাজ ভুলেও করবেন না। রাগ পুষে রাখলে সমস্যা আরও বাড়বে। বরং নিজেকে শান্ত করে দুজনই কথা বলতে শুরু করুন। ঝগড়ার পর পর একে অপরের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে সময় লাগে। তাই বলে কথা বন্ধ করে বসে থাকার কোনও অর্থ হয় না।
৩) ঝগড়ার পর একে অপরকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন। এতে সমস্যা বেড়ে যায়। ঠান্ডা মাথায় সঙ্গীকে নিজের কথা বোঝানোর চেষ্টা করুন। নিজেও ধৈর্য ধরে তাঁর কথা শুনুন। ঝগড়ার পর যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়, তা–ও সহজে কেটে যাবে।
ঝগড়া শেষে কী ভাবে মিটমাট করবেন? ছবি:শাটারস্টক।
৪) যে কোনও ঝগড়ায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই অবদান থাকে। তাই ঝগড়া শেষে দু’জনই একে অপরের কাছে ক্ষমা চান। এই অভ্যাস কিন্তু যে কোনও ঝগড়া শেষে মিটমাট করার সেরা উপায়।
৫) নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার পর সেই কাহিনি আর পাঁচ জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, এতে সমস্যা বাড়বে। নিজেরাই ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তৃতীয় কোনও ব্যক্তির কাছে নিজেদের সমস্যার কথা বলার দরকার নেই।