নম্বর কম পাওয়া বিয়ে ভাঙল। প্রতীকী ছবি।
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছিলেন পাত্রী। সেই কারণ দেখিয়ে বিয়ে বাতিল করলেন পাত্রের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের তিরভা কোতওয়ালি এলাকায়। পাত্রীর পরিজনেদের অবশ্য দাবি, পাত্রপক্ষের পণের চাহিদা না মেটায় বিয়ে ভেঙেছেন তাঁরা।
দু’বাড়ির মধ্যে দেখাশোনা করেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এই বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই দুই বাড়ির সদস্যরা বেশ উত্তেজিত ছিলেন। বিয়ের কেনাকাটাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিছু দিন আগেই পাত্র-পাত্রীর আশীর্বাদের অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ বহন করেন পাত্রীর বাবা। তিনি জানিয়েছেন, আশীর্বাদ উপলক্ষে তিনি ৬০ হাজার টাকা খরচ করেন। সঙ্গে পাত্রকে ১৫ হাজার টাকার একটি সোনার আংটিও উপহার দেন।
আশীর্বাদের পরেই বিয়েতে পণ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে পাত্রপক্ষ। কিন্তু পাত্রীর পরিজনেরা পণ দিতে চাননি। পাত্রীর বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি আর কিছু দিতে অপারগ। তার পরেই বিয়েতে বেঁকে বসেন পাত্রের বাড়ির লোকজন। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় খারাপ ফল করার কারণ দেখিয়ে বিয়ে বাতিল করতে চান। কিন্তু পাত্রীর বাবার অনুমান, পণ দিতে না পারার কারণে বিয়ে বাতিল করতে চাইছেন তাঁরা। তিনি বেশ কয়েক বার বাতিল না করার অনুরোধ করেন পাত্রের বাড়ির সদস্যদের। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন। পাত্র এবং তাঁর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তিনি।