রোনাল্ডোর সঙ্গে রোমাঞ্চকর শরীরী উদ্যাপনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন জর্জিনা। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও রিয়াল মাদ্রিদের রেস্তরাঁয়, আবার কখনও অনেক দূরের কোনও সমুদ্রসৈকতে— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ় প্রেমের উদ্যাপনে ব্যস্ত থাকেন প্রায়ই। দু’জনের সম্পর্কের শুরু ২০১৬ সালে। প্রেমজীবন নিয়ে বরাবরই অকপট জর্জিনা। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘আই অ্যাম জর্জিনা’ নামক একটি শোয়ে রোনাল্ডোর সঙ্গে রোমাঞ্চকর শরীরী উদ্যাপনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন।
জর্জিনার সঙ্গে প্রেমের আগে রোনাল্ডোর জীবনে ছিলেন রাশিয়ান মডেল ইরিনা শায়াক। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চুটিয়ে প্রেম করেছেন দু’জনে। তার পর হঠাৎ বিচ্ছেদ। এক বছর পরেই রোনাল্ডোর জীবনে আসেন জর্জিনা। তখন থেকেই দু’জনের পথ চলা শুরু। এতগুলি বছর পেরিয়ে এসেও সে জুটি মজবুত এবং শক্তিশালী।
প্রেম নিয়ে জর্জিনার কোনও লুকোছাপা ছিল না কোনও কালেই। ছবিঃ সংগৃহীত
প্রেম নিয়ে জর্জিনার কোনও লুকোছাপা ছিল না কোনও কালেই। এ বার নিজেদের শারীরিক সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
জর্জিনা জানান, রোনাল্ডো এবং তিনি এক বার একটি সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জর্জিনা সাঁতার কাটতে চাইছিলেন না। কারণ তিনি হাতে সদ্য ট্যাটু করিয়েছিলেন। যাতে নোনাজল লেগে না নষ্ট হয়ে যায়, তাই জলে নামতে চাননি। সমুদ্রতটে সঙ্গমের পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিলেন দু’জনে। কিন্তু রোনাল্ডো চেয়েছিলেন সমুদ্রের নোনা জলে বান্ধবীর সঙ্গে মিলিত হবেন। ট্যাটুর কারণে জর্জিনা রাজি হননি। অগত্যা দু’জনে ভাবতে বসেন, কোথায় একে অপরের সঙ্গে শরীরী খেলায় মেতে ওঠা যায়।
ঠিক তখনই তাঁদের চোখ যায় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা জাহাজের দিকে। এক মুহূর্ত দেরি না করে সেখানেই চলে যান দু’জনে। তার পর আর কোনও দিকে মন না দিয়ে শরীরী স্রোতে ভেসে যান। এই ঘটনাটি বলে জর্জিনা নিজেও বেশ লজ্জা পেয়ে যান। তবে শোয়ে উপস্থিত জর্জিনার এক বন্ধু তাঁকে খানিক ঠাট্টার ছলে বলেন, ‘‘জাহাজের চেয়ে তো হোটেলের বিছানা ভাল ছিল।’’