মহিলা জানতে পারেন, একটি বেনামি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে স্বামীর, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি অন্য পুরুষদের সঙ্গে কথোপকথন চালান। ছবি: প্রতীকী
অন্য পুরুষের সঙ্গে নগ্ন ছবি চালাচালি করেন স্বামী। বিয়ের প্রায় ৬ মাস পরে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্ত্রী। তার পরেই বুঝতে পারেন স্বামী সমকামী। তার পরেই মুম্বইয়ের একটি কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত জানাল, গার্হস্থ হিংসা আইনের আওতায় প্রতি মাসে ওই মহিলাকে পনেরো হাজার টাকা দিতে হবে স্বামীকে।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের ছয় মাস পরেও ‘পরিপূর্ণতা’ পায়নি তাঁদের বিয়ে। ৬ মাসের মাথায় এক দিন তিনি দেখতে পান, অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন আলাপচারিতায় মগ্ন রয়েছেন স্বামী। তার পরই তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন একটি বেনামি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে স্বামীর, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি অন্য পুরুষদের সঙ্গে কথোপকথন চালান। সেখানে পুরুষ সঙ্গীদের সঙ্গে স্বামীর ‘আপত্তিকর’ ছবিও খুঁজে পান তিনি। তার পরই কোর্টে মামলা করেন ওই মহিলা।
বিচারক জানান, গার্হস্থ হিংসা আইনের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে কেবল শারীরিক ভাবে আঘাত করা কিংবা কটাক্ষ করাতেই গার্হস্থ্য হিংসা সীমাবদ্ধ নয়। ছবি: প্রতীকী
ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ এনে খোরপোশও দাবি করেন ওই মহিলা। নিম্ন আদালত সেই আবেদন মেনে তাঁর স্বামীকে পনেরো হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই উচ্চতর আদালতে যান ওই ব্যক্তি। দাবি করেন, নিম্ন আদালত তাঁকে ‘সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি’র তকমা দিয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাঁর এই যুক্তি মানেননি মুম্বই-এর এক আদালতের বিচারক এ এ যোগলেকর। বিচারক জানান, গার্হস্থ হিংসা আইনের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে কেবল শারীরিক ভাবে আঘাত করা কিংবা কটাক্ষ করাতেই গার্হস্থ হিংসা সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর মতে স্বামীর নগ্ন ছবি দেখে যে মানসিক আঘাত পেয়েছেন স্ত্রী, তার অভিঘাত গুরুতর। তাই নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।