দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পর বিয়ের কথা ভেবেছিলেন দু’জনে। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের ৩ দিন আগে হবু বরের শরীরে ধরা পড়ল জটিল রোগ। হল অস্ত্রোপচারও। শেষমেশ হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন যুগল। ফ্লোরিডার বাসিন্দা ৪৩ বছরে পেকাকোরার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল লিসা সিগেল নামক এক তরুণীর। পেকাকোরা পেশায় বিজ্ঞানের শিক্ষক। লিসা একটি বাচ্চাদের স্কুলে পড়ান। দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক বেশ কয়েক বছরের। দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পর বিয়ের কথা ভেবেছিলেন দু’জনে। কিন্তু পথচলা শুরুর আগেই এমন বিপত্তি বাধবে, কে জানত।
দু’বাড়ি থেকে জোরকদমে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। হবু বর এবং কনের উত্তেজনাও ছিল তুঙ্গে। এত দিনের সম্পর্ক পরিণতির দিকে এগোলে খুশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। সবই চলছিল পরিকল্পনা মাফিক। হঠাৎই যেন তাল কাটল।
বিয়ের দিনটি আসতে তখনও ৩ দিন মতো বাকি। পেকাকোরা এক দিন স্কুলে ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎই হাতে ব্যথা করতে থাকে। সেই সঙ্গে শুরু হয় বুকে যন্ত্রণাও। কষ্টে ছটফট করতে থাকেন তিনি। স্কুলের সহকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদেরও। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হৃদ্রোগের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। অস্ত্রোপচার না করলে বিপদ ঘটে যেতে পারে। মাথায় হাত পড়ে সকলেরই। অবশেষে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করা হয় পেকাকোরার। তবে অস্ত্রোপচারের পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠেন পেকাকোরা। শারীরিক ভাবে তো সুস্থ হলেন। কিন্ত বিয়ের কী হবে? জাঁকজমক করে বিয়ে করার মতো শারীরিক পরিস্থিতিও ছিল না। তাই শেষমেশ হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন দু’জনে।
পেকাকোরা এবং লিসার বিয়ের পুরো দায়িত্ব নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গোটা হাসপাতাল সাজানো হয়। আয়োজন করা হয় খাওয়াদাওয়ার। কুকিজ, টোস্ট, শরবত-সহ নানা রকম খাবারদাবার ছিল ভূরিভোজে। চিকিৎসক এবং হাসপাতালকর্মীদের এই আয়োজনে আপ্লুত হয়ে পড়েন বর-কনে দু’জনেই। একটি সংবাদমাধ্যমকে পেকাকোরা বলেছেন, ‘‘আমি যে উঠে দাঁড়াতে পারব, এ কথা ভাবতেই পারিনি। বিয়ে তো দূরের কথা! আমার আর লিসার বিয়েটা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র হাসপাতালের জন্য। আমরা দু’জনেই সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’’