ছবি: প্রতীকী
একটা সময়ে এমন গাঢ় বন্ধুত্ব ছিল যে, কেউ কাউকে এক দিন না দেখে থাকতে পারতেন না। মাধ্যমিক পাশ করার পর, স্কুল আলাদা হয়ে যাওয়ার সময়ে অবসাদে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু অজানা কোনও একটি কারণে এখন সেই বন্ধুর সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। সেই বন্ধুর কথা মনে পড়লেও নিজে থেকে কেউ নতুন করে কথা শুরু করার সাহস দেখাতে পারছেন না। রাস্তায় বা বন্ধুদের জমায়েতে দেখা হলেও পরস্পরকে এড়িয়ে চলছেন। এমন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় অনেককেই। অনেক বন্ধুত্বই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তবে মনোবিদেরা বলছেন, এই হারানো বন্ধুত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য কোনও রকম জোর করা যাবে না। ধৈর্য ধরে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করাই শ্রেয়। তবে সময়ের জন্য একেবারে হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে কয়েকটি টোটকা মেনে দেখা যেতে পারে।
১) মনের কথা লিখে জানান
অনেক দিন কথা না বললে প্রথমটায় কথা শুরু করতে অসুবিধা হতে পারে। কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, বা কে প্রথম কথা শুরু করবেন, বুঝতে পারেন না অনেকেই। তাই ফোনে বা মুখে না বলে পুরনো দিনের মতো নিজের মনের কথা লিখে জানাতে পারেন।
২) সামনাসামনি দেখা করুন
অনেক সময় ফোনে বা চিঠি দিয়ে কথা বললে ভুল বোঝাবুঝি অবসান না-ও হতে পারে। তাই সামনাসামনি দেখা করে কথা বললে যে আবেগ বা অনুভূতি দেখাতে পারবেন, দূর থেকে ভিডিয়ো কলে তা সম্ভব নয়।
৩) সময় দিন
যে কোনও ক্ষত সারতে সময় লাগে। তাই কোনও কারণে দীর্ঘ দিন কথা বন্ধ থাকার পর আবার কথা শুরু হলেও যে তা একেবারে আগের মতো হবে, এমনটা নয়। তাই সব কিছু ঠিক করতে গেলে সময় দিতে হবে।
ছবি: প্রতীকী
৪) উপহার দিতে পারেন
বন্ধুত্বের মূল্য আপনার কাছে কতখানি, তা মুখে বলে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে বরং উল্টোদিকের মানুষটি যা পছন্দ করেন, তেমন একটি উপহার পাঠাতে পারেন। সঙ্গে ফুল বা চকোলেট থাকলেও মন্দ হয় না।
৫) সীমা অতিক্রম করবেন না
বন্ধু অনেক দিনের চেনা, পরিচিত। কিন্তু মাঝের দিনগুলোতে দু’টি মানুষের জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তা দু'জনেই জানেন না। তাই অতিরিক্ত সহজ, সাবলীল হয়ে কেউই নিজের সীমা অতিক্রম করবেন না।