সম্পর্কে সুখ ফিরবে কোন উপায়? ছবি: প্রাক্তন ছবির দৃশ্য।
সুখে থাকার কোনও নির্দিষ্ট ফর্মুলা হয় না। যার যা ভাল লাগে, সে তাতেই সুখে থাকে। তা যেমন সত্যি, তেমন জীবনে আর একটি মানুষ জড়িয়ে পড়লে কিছু কথা মাথায় রেখে চলতে হয় বইকি! যাতে শুধু আপনি নন, অন্য জনও ভাল থাকেন। সম্পর্কে ঝামেলা-অশান্তি লেগেই থাকে। ভালবাসার মানুষের সঙ্গেই তো আমাদের যত রকম মান-অভিমান হয়। তবে গোটা বিষয়টি বুদ্ধি করে সামলে নিলে দু’জনের সম্পর্ক আরও বেশি মধুর হয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল চাবিকাঠি কী?
একে অপরকে সময় দিতে হবে
সম্পর্কে একে অপরকে সময় দেওয়া ভীষণ জরুরি। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয়, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া, এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় নিজেদের আলাপচারিতার জন্য বরাদ্দ করুন।
সুখ পেতে রোম্যান্স জরুরি
যদি মনে হয় কিছু সাধারণ চাওয়া-পাওয়ার বিষয়েও সঙ্গী যত্নবান নন, তবে সম্পর্কের ভিতটাই নড়বড়ে হয়ে যায়। তাই একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। মনে ভালবাসা থাকলেই হল না, ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— এই ছোট ছোট বদল আনলেই কিন্তু সম্পর্ক মধুর হবে।
একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা দরকার
সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ বলি না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই দু’টি শব্দ সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
মিলেমিশে করুন কাজ
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। বাড়ির কাজও একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে জিমে যাওয়া শুরু করতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।
সঙ্গীর কথাকেও গুরুত্ব দিতে হবে
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে সঙ্গীর উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিলে চলবে না, সঙ্গীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সঙ্গীর কোনও কাজ ভুল মনে হলে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন, তবে নিজের কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। দু’জনের তালমিলেই সম্পর্ক সুখের হবে।