বাবাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি, স্বাস্থ্যের পরিস্থিতিও যে প্রভাব ফেলতে পারে সন্তানের শারীরিক অবস্থার উপর, সে কথা অনেকেই খেয়াল রাখেন না।
এক সময়ে মায়েদের সচেতন করা হত। নিজেদের যত্ন নেওয়া জরুরি। তবেই সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন তাঁরা। এখনকার অধিকাংশ পরিবারেই এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। কিন্তু বাবাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি, স্বাস্থ্যের পরিস্থিতিও যে প্রভাব ফেলতে পারে সন্তানের শারীরিক অবস্থার উপর, সে কথা অনেকেই খেয়াল রাখেন না।
সন্তান বেড়ে ওঠে মায়ের গর্ভে। কিন্তু বাবার অবদান কম নয়। যে কোনও মানুষের শরীরে অর্ধেকটা বাবার জিন, বাকিটা মায়ের। ফলে বাবার অসুখ, অভ্যাসও তার মধ্যে চলে আসে।
সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে চাইলে তাই খুব জরুরি হল বাবাদের সচেতনতাও। এমনই বলছেন এ কালের চিকিৎসকরা।
কোন তিনটি দিকে নজর দেওয়া জরুরি?
১) মা হওয়ার বয়স নিয়ে অনেক কথাই হয়ে থাকে। কোন বয়সের পর গর্ভধারণ মা ও সন্তানের বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা নিয়েও কথা হয়। কিন্তু এ কথাও জানা জরুরি যে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০-এর পর বাবা হলে সে সন্তানের অটিস্টিক হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। ডাউন সিন্ড্রোমও দেখা দেয় কোনও কোনও শিশুর ক্ষেত্রে। বাবার জিনের বয়সের সঙ্গে এই সব রোগের যোগ আছে বলে জানা যাচ্ছে এ সময়ের গবেষণায়।
বাবার ওজন কেমন, তার প্রভাব পড়ে সন্তানের ওজনের উপর। বাবা স্থূল হলে সেই সন্তানের স্থূলতার সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। মায়েদের থেকেও এ ক্ষেত্রে বাবার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখা যাচ্ছে।
২) ধূমপানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। মায়েরা ধূমপায়ী হলেও গর্ভধারণের আগে তা ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বাবাদের ক্ষেত্রে তেমন কিছু বলা হয় না। অথচ দেখা যাচ্ছে, বাবার ধূমপানের অভ্যাস সন্তানের মধ্যে ডায়াবিটিস ও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
৩) আরও একটি জিনিস ধরা পড়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বাবার ওজন কেমন, তার প্রভাব পড়ে সন্তানের ওজনের উপর। বাবা স্থূল হলে সেই সন্তানের স্থূলতার সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। মায়েদের থেকেও এ ক্ষেত্রে বাবার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখা যাচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।