‘গ্লিডেন’ নামক অ্যাপটি কেবল বিবাহিতদের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রকাশ্যে পরকীয়া নিয়ে আলোচনা করা এখনও খুব বেশি শোনা যায় না চারপাশে। তবে বেশ কিছু বছর আগেও পরকীয়া শব্দটি যত নিষিদ্ধ ছিল, এখন আর ততটা নেই। গোটা ব্যপারটা নিয়েই চলে ঢাক ঢাক গুড় গুড়। চিরকালই পরকীয়ার নিষিদ্ধ হাতছানির ডাকে সাড়া দিয়েছেন বহু পুরুষ এবং মহিলা। ফ্রান্সের ‘গ্লিডেন’ নামক একটি বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তাঁদের গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের এক কোটি গ্রাহকের মধ্যে ২০ লক্ষ গ্রাহকই ভারতীয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর সংস্থার ভারতীয় গ্রাহক সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে।
সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতীয়দের মধ্যে ৬৬ শতাংশ গ্রাহক আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বই ও পুণে শহরের বাসিন্দা। বাকি ৪৪ শতাংশ গ্রাহক টিয়ার ২ ও টিয়ার ৩ শহরের বাসিন্দা। গ্লিডেনের ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সিবিল সিড্ডেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতের অধিকাংশ মানুষই এক বিবাহে বিশ্বাসী, এই ধারণাই প্রচলিত। অপর দিকে কিন্তু আমাদের অ্যাপেও ভারতীয় গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ২০২২ সালে আমাদের অ্যাপে ভারতীয় গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে ছিল ১৭ লক্ষ আর ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ২০ লক্ষ।’’
সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে তাঁদের গ্রাহকরা অধিকাংশই উচ্চবিত্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
এই অ্যাপটি কেবল বিবাহিতদের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এই অ্যাপে বাড়তি গ্রাহক সংখ্যা ভারতীয়দের বিয়ে সংক্রান্ত সাবেকি চিন্তাধারার পরিবর্তনের দিকে বড় ইঙ্গিত, এমনটাই মনে করা হচ্ছে সংস্থার তরফে। সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে তাঁদের গ্রাহকরা অধিকাংশই উচ্চবিত্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, তাঁদের ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যে অধিকাংশই ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, চিকিৎসা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। এই বিরাট সংখ্যক ভারতীয়ের মধ্যে অনেক গৃহবধূও আছে। পুরুষ গ্রাহকদের গড় বয়স ৩০ বছর আর মহিলা গ্রাহকদের গড় বয়স ২৬ বছর।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই অ্যাপে মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে তাদের মোট গ্রাহকের ৪০ শতাংশই মহিলা।