পাখিরা সাধারণত একটি প্রজননবর্ষে এক জন সঙ্গীকেই নির্বাচন করে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেলে আলাদা জীবন বেছে নেন বহু দম্পতিই। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে, ভালবাসা বা বিশ্বাসের অভাব হলে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দম্পতিরা। পশু, পাখিদের মধ্যেও যে এমন মান-অভিমানের পালা চলে, তাদের সম্পর্কেও যে ‘বিচ্ছেদ’ শব্দের অস্তিত্ব রয়েছে, তাই সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন, পাখিদেরও সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নেওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। পশুদের মধ্যে কখনও কখনও বহুগামিতা দেখা গেলেও পাখিরা সাধারণত একটি প্রজননবর্ষে এক জন সঙ্গীকেই নির্বাচন করে থাকে। বিচ্ছেদের কারণগুলি এক রকম হলেও প্রজাতি অনুযায়ী বদলে যায় বিচ্ছেদ নেওয়ার ধরন।
পাখি যুগলদের মধ্যে বিচ্ছেদের কারণগুলিও অনেকটা মানুষের মতো। যৌনজীবনে অতৃপ্তি, আশপাশের পরিবেশ বা অন্যান্য নানা কারণে অবসাদ থেকেই তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এ ছাড়াও সঙ্গীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ, বহুগামী মনোভাব, পরিযায়ী পাখিদের এক জায়গা থেকে অন্য আর একটি জায়গার দূরত্ব এবং বয়সজনিত মৃত্যুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।