প্রতীকী ছবি।
সমকামী বিয়ে দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তা গড়ায় ভোটে। সদস্যরা ‘চার্চ অব স্কটল্যান্ড’-এ সমকামী বিয়ে হওয়ার পক্ষে বেশি ভোট দেন। ফলে এ বার থেকে বৈধ ভাবে চার্চে সমকামী যুগলের বিয়ে দেওয়া যাবে।
সোমবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একদল এই সিদ্ধান্তকে বাহবা দিয়েছে। স্কটিশ কনসার্ভেটিভ পার্টির প্রাক্তন নেতা রুথ ডেভিডসন এবং স্কটল্যান্ডের লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা কেজিয়া ডাগডেল, দু’জনে আগে সমকামী সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তকে। তবে কোভেন্যান্ট ফেলোশিপ স্কটল্যান্ড থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, চার্চের এই সিদ্ধান্তকে ‘গুরুতর ভুল’ বলেই দেখছে তারা। এটি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
সোমবার চার্চে সমকামী বিয়ের পক্ষে মোট ভোট পড়েছে ২৭৪টি। ১৩৬ জন ভোট দেন এর বিপক্ষে। কোনও মিনিস্টার সমকামী বিয়ে দিতে উদ্যোগী হলে, নিজে থেকেও আবেদন জানাতে পারবেন।
প্রতীকী ছবি।
রিটায়ার্ড রেভারেন্ড গ্রিনশিলড্স এখন এই চার্চের জেনারেল মডারেটর। তিনি বলেন, ‘‘এটি বহু সদস্যের চার্চ। সদস্যদের নানা ধরনের মতামত রয়েছে সমকামী বিবাহ নিয়ে।’’ তিনি জানান, সমকামী বিয়ে নিয়ে বহু বছর ধরে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলেছে। কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। তার পর ঠিক করা হয় যে, সদস্যদের ভোট নেওয়া হবে।
সদস্যরা যেন সকলকে সম্মান দিয়ে আলোচনা চালান, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয় চার্চের তরফে। কর্তৃপক্ষ জানান, নানা জনের নানা মত। সকলের মত যেন সমান সম্মান পায়, এ ধরনের আলোচনায় তা দেখা খুব জরুরি। না হলে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো আরও কঠিন হয়।
২০০৯ সালে প্রথম নিজেকে সমকামী বলে প্রকাশ করেন স্কটল্যান্ডের চার্চের সদস্য রেভারেন্ড স্কট রেনি। তিনি বলেন, ‘‘সে সময়ে চার্চে বিয়ে করতে পারিনি আমরা।’’ তিনি চার্চের সদস্য থাকবেন কি না, তা নিয়েও ছিল মতভেদ। তবে শেষ পর্যন্ত চার্চের সঙ্গে যুক্ত থাকেন স্কট। চার্চের যে সকল সদস্য সমকামী বিয়ের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দেন স্কট। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ে একটি অপূর্ব বন্ধন। স্বামী ডেভের সঙ্গে আমার বৈবাহিক সম্পর্ক আমাকে ব্যক্তি এবং চার্চের সদস্য হিসাবে অনেকটা এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।’’ তাঁর বক্তব্য, চার্চের মিনিস্টার হিসাবে যে সব দায়িত্ব তিনি পালন করেন, তা অনেকটাই সম্ভব হয় স্বামীর ভালবাসা ও অনুপ্ররণার কারণে।
গত বছর সমকামী বিয়ের অনুমোদন দেয় ব্রিটেনের মেথডিস্ট চার্চ। তবে চার্চ অব ইংল্যান্ড বা রোমান ক্যাথলিক চার্চে এখনও বৈধ নয় সমকামী বিবাহ।