কাটোয়া লোকালের এই রুটে পাঁচটি হকার ইউনিয়নের মিলিত সদস্য সংখ্যা আড়াই হাজারের উপর। তার মধ্যে মিষ্টি বিক্রেতার সংখ্যা একশোর উপর। প্রবীণ সুবলবাবু নিজে এখনও প্রতি দিন তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশ কেজি মিষ্টি বিক্রি করেন। গড়ে হাজার তিনেক টাকার কেনাবেচা। তারপরেও তাঁর আক্ষেপ, ‘‘মিষ্টির বিক্রি কমছে। লোকের ঝোঁক বাড়ছে নোনতা খাবারের দিকে। টপাটপ পান্তুয়া মুখে চালান করার মতো দিলদরিয়া মেজাজ আজকের দিনে কম।’’ তবে রেসিপি জানিয়েই দিলেন সুবলদা। দেখে নিন।
সুবলদার পান্তুয়া
ছানার সঙ্গে কেজি পিছু ৩০০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে ভাল করে মাখিয়ে দু’ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। কেজি পিছু ৩০০ গ্রাম সাদা ময়দা মিশিয়ে ফের ভাল করে মেখে মিনিট চল্লিশ রেখে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো সাদা তেল ময়ান দিয়ে সঙ্গে সামান্য খাবার সোডা মিশিয়ে আরও এক বার মাখতে হবে। মাখাটা নরম হলে তা দিয়ে লেচি কেটে ফেলতে হবে। এর পর ভাজার পালা। উনানের আঁচের উত্তাপ বাড়িয়ে-কমিয়ে চল্লিশ মিনিট ধরে ভাজতে হবে লাল করে। কড়াই থেকে তুলে প্রথমে ছাড়তে হবে ঈষদুষ্ণ হাল্কা রসে। হাল্কা রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পরে ওই পান্তুয়ার রস ঝরিয়ে দ্বিতীয় বার ফেলা হবে ঘন ফুটন্ত রসে। কিছুক্ষণ ঘন রসে ফোটানোর পর নামিয়ে নিতে হবে। সারা রাত ওই রসেই মজবে পান্তুয়া। সকাল হলে যাত্রা শুরু ব্যান্ডেল-কাটোয়া লোকালে।