ওজন কমাতে গেলে নজর রাখুন ডায়েটের দিকেও। ছবি: শাটারস্টক।
ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কে না চায়! কিন্তু তার জন্য কেবল শরীরচর্চা বা হাঁটাহাঁটিই শেষ কথা নয়। মেদ কমাতে ডায়েট একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। খাবার পাতে ঠিক কী কী খাবার রাখছেন, কতটা রাখছেন এগুলোর উপরেও নির্ভর করবে কতটা ওজন কত দিনে কমবে।
‘‘সাধারণত অ্যাটকিন্স ডায়েট অর্থাৎ লো ফ্যাট, নো কার্বস ও প্রোটিন সর্বস্ব ডায়েট মানলে ওজন ঝরাতে সুবিধা হয়। কিন্তু তার বাইরেও কিছু খাবার থাকে, যা পাতে যোগ করলে মেদ জমে থাকে না শরীরে। ওজন কমাতে গেলে মনে রাখতেই হবে তাদের।’’— জানালেন ডায়েট ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।
খাবার পাতে কিছু খাবার রাখলে তা শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়াবাড়িয়ে ওজন কমায়। আবার কেউ বা কম পরিমাণেও জোগান দেয় বেশি ক্যালোরি। ক্যালোরি গ্রহণ ও তা খরচ করার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে শরীরের পুষ্টি ও মেদ জমার অঙ্কের অনেকটা। কোন কোন খাবার মেদ ঝরাতে বিশেষ উপযোগী জানেন?
আরও পড়ুন: স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা? ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন সমস্যা
হাই প্রোটিনযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার রোধ করে মেদবৃদ্ধি।
টক দই: হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ এই দুগ্ধজাত খাবার ফ্যাট কমাতে বিশেষ কার্যকর। এ ছাড়া এই খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। তাই বার বার খাওয়ার প্রবণতা কমে। শারীরিক কসরতের পরও এই খাবার শরীরে শক্তির জোগান দেয়।
বাদামি চাল ও আটা: উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার পাতে রাখলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে। সাধারণ চাল বা ময়দায় ওজন বেড়ে যাওয়ার যে ভয় থাকে, বাদামি চাল (ব্রাউন রাইস) ও আটায় তা নেই। বরং এ থেকে জমা গ্লাইকোজেন তুলনামূলক ভাবে অনেক তাড়াতাড়ি গলে। তাই ওজন কমানোর ডায়েটে রাখা হয় এদের।
গ্রিন টি: জিরো ক্যালোরির এই পানীয় পাকস্থলীকে খালি রেখে মেদ বাড়তে দেয় না। কিছুটা খিদে মেটায়। কিন্তু শরীরে ক্যালোরি না প্রবেশ করায় ওজনও বাড়ে না।
আরও পড়ুন: বয়স বাড়ছে, শরীরই এই ভাবে আপনাকে বলবে সতর্ক হতে, গুরুত্ব না দিলে কিন্তু বিপদ
আপেল থেকে তৈরি ভিনিগার ইউরিক অ্যাসিড ঠেকাতে ও মেদ কমাতে বিশেষ কার্যকর।
আপেল সাইডার ভিনিগার: আপেলে প্রচুর ফাইবার থাকায় তা যেমন পেট ভরায়, তেমনই রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে, তাই আপেল খেলে খিদে কমে। বার বার খাওয়ার প্রবণতা নষ্ট হয়ে মেদ বাড়ে না। আপেল থেকে তৈরি ভিনিগারও তেমনই শরীরের পক্ষে উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা কমাতেও এটি বিশেষ কার্যকর।
শস্যদানা: সকালের খাবারে পাতে রাখুন ওটস বা কোনও শস্যদানা। খুব কম ফ্যাটযুক্ত এই খাবারে মেদ তো জমেই না উল্টে শরীরের ছিপছিপে আকার ধরে রাখা যায়। এ দিকে ভারী খাবার হওয়ায় খিদে পায় না অনেক ক্ষণ।