Anuttama Bandyopadhyay

অনলাইনে যা দেখবেন, কিনতে হবে! না কিনলেই মনখারাপ? নেশামুক্তির পথ দেখালেন মনোবিদ

আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভে সরাসরি কিছু সমস্যার কথা শুনলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৬
Share:

অনলাইন শপিং কি এক ধরনের নেশা? ছবি- সংগৃহীত

‘লোকে কী বলবে’-র প্রতিটি পর্বে পূর্বনির্ধারিত কিছু বিষয় নিয়ে দর্শক, শ্রোতারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ নেন। তা সত্ত্বেও এমন অনেক কথা থাকে, যেগুলি বলতে চেয়েও বলা হয়ে ওঠে না। কখনও পারিবারিক, কখনও সামাজিক, কখনও আবার একান্ত ব্যক্তিগত লজ্জা বা ভয় থেকেই সেই প্রশ্নগুলি তলিয়ে যায় মনের গভীরে। আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভে এসে তেমনই কিছু প্রশ্নের সরাসরি সমাধান দিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রশ্ন এল নানা রকম। দেবশ্রী মিত্র নামে এক মহিলা লিখলেন, “কোভিড অতিমারির সময় থেকেই অনলাইনে শাড়ি এবং বই কেনার ঝোঁক তৈরি হয়। চেষ্টা করেও নিজেকে সামলাতে পারছি না। কোনও জিনিস পছন্দ হলে সেটা তখনই অর্ডার করতে না পারলে মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। এটাও কি এক রকম নেশা? না কি শাড়ি এবং বইয়ের প্রতি অদম্য ভালবাসা?”

অহেতুক অর্থ বা সময় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে বুঝেও নিজের ইচ্ছায় লাগাম পরাতে না পারার মতো সমস্যা নতুন নয়। খুঁজলে আমাদের আশপাশেই এমন উদাহরণ মিলবে। কিন্তু এই অভ্যাসকে ব্যক্তিগত ভাবে ‘নেশা’ বলে দাগিয়ে দিতে নারাজ মনোবিদ অনুত্তমা। তাঁর কথায়, “কিছু কিনতে ইচ্ছা যেমন হচ্ছে, আমার বিশ্বাস সেগুলি কেনার পরেও দেবশ্রীর অস্বস্তি হচ্ছে। না হলে মনে এমন প্রশ্ন বা চিন্তা কোনওটিই আসত না। সুতরাং অস্বস্তিরও একটা তারতম্য আছে। পছন্দের জিনিস কিনতে না পারার অস্বস্তি এবং কিনে ফেলার পর অর্থ বা সময় নষ্ট করার অস্বস্তি। যে কোনও পছন্দের বিষয়, নিজের কাছে পেতে একটা তাগিদ তো কাজ করবেই। এ ক্ষেত্রে ভেবে দেখার বিষয় হল কোনটি প্রয়োজন আর কোনটি শুধুমাত্র চাওয়া। কারণ প্রয়োজন আর চাওয়া, দু’টি তো এক রকম হতে পারে না। ধরা যাক জল, যা আমাদের প্রয়োজন। কিন্তু ঠান্ডা নরম পানীয় আমাদের প্রয়োজন হতে পারে না। কিন্তু ভাল লাগার কোনও কিছুই আমরা জীবনে কিনব না, তা নয়। প্রত্যেক মাসেই এমন কিছু নির্ধারিত খরচ সকলেরই থাকে। কিন্তু তা বাদে কিছুটা অর্থ মাসের প্রথমেই সরিয়ে রাখা যেতে পারে পছন্দের জিনিসগুলি কেনার জন্য। তা বই হতে পারে, শাড়িও হতে পারে। কিন্তু পছন্দের কেনাকাটা করার জন্য নির্দিষ্ট যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়েছে, তা খরচ হয়ে যাওয়ার পরও যদি কিছু কেনা বাকি থাকে, তা ‘শপিং কার্ট’-এ রেখে দেওয়া যেতে পারে পরের মাসের জন্য। হতে পারে পরের ঠিক ওই জিনিসটি পাওয়া গেল না। কিন্তু ওই প্রলোভনে পা দেওয়া যাবে না। হতেই পারে পরের মাসে ওই জিনিসটির থেকেও ভাল আরও অনেক জিনিস আপনি পেয়ে গেলেন। তাই কোনও মাসে পছন্দের জিনিস কেনার নির্ধারিত অর্থ শেষ হয়ে গেলেও পছন্দের জিনিসটি সে মাসেই কিনব না, নিজের সঙ্গে নিজের এই অঙ্গীকার থাকা জরুরি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement