নিয়মিত শারীরচর্চা শরীর-মন ভাল রাখে মেনোপজ়ের সময়ে
মেয়েদের শরীরে এ সময়ে বড়সড় পরিবর্তন দেখা দেয়। ঠিক যেমন বয়ঃসন্ধিতে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার সময়ে শরীরে পরিবর্তন দেখা দেয়, তেমনই মেনোপজ়ের প্রভাবও মেয়েদের শরীর-মনে পড়ে। আর-একটা বিষয়ও মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেকের জন্য অভিজ্ঞতা এক রকম হয় না। তাই এ সময়ে শারীরচর্চা করলে শরীর ও মন দুই-ই ভাল থাকবে। খুব সহজেই এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন।
এ সময়ে কেন ব্যায়াম করবেন?
* মেনোপজ়ের কাছাকাছি সময়ে বেশির ভাগ মহিলার ওজন বেড়ে যেতে দেখা যায়। নিয়মিত ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।n হাড় ভাল রাখে। মেনোপজ়ের পরপরই মহিলাদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে দেখা যায়। তাই হাড় মজবুত রাখার জন্যও ব্যায়াম জরুরি।n মুড ভাল রাখে। এ সময়ে মুড বদলায় মুহুর্মুহু। কিন্তু শারীরচর্চা করলে বন্ধু হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা মন ভাল রাখে।
কী ধরনের ব্যায়াম করবেন?
* স্ট্রেচিং: বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে শরীরের নমনীয়তা চলে যায়। তাই এ সময়ে স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ় করলে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ে।
* স্ট্রেংথ ট্রেনিং: পেশি লুজ় হতে শুরু করে এ সময়ে। তাই পেশির গঠন সুদৃঢ় করার জন্য স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতে পারেন। তার জন্য একটু-একটু করে ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। রেজ়িস্ট্যান্স ব্যান্ড বা লুপ নিয়ে ব্যায়াম করা যায়। এতে পেশি মজবুত থাকে।
* সাঁতার: সাঁতার শুরু করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। দিনে ৩০-৪০ মিনিট সাঁতার কাটলেও শরীরের সব পেশির ব্যায়াম হয়ে যায়।
এ ছাড়াও দিনে ৪০ মিনিট জোরে হাঁটা বা জগিং করতে পারেন। এতেও ঘাম ঝরবে, শরীর ভাল থাকবে। সাইকেলিং করতে পারেন। এতে পায়ের পেশি মজবুত থাকে।
নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি ডায়েটও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর মনে রাখতে হবে, রাতে খেয়ে উঠে সঙ্গে-সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। নৈশাহারের পরে আধ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে ভাল।