সিন ইভানস নামের এক ইঞ্জিনিয়ার গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন। ছবি: সংগৃহীত
গ্যাস লিক করে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারত, যেতে পারত প্রাণও। কিন্তু বাড়ির এক পোষ্যের বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেল একাধিক প্রাণ। কোথা থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছে, খুঁজে বার করল বাড়ির পোষা বিড়াল। ব্রিটেনের সোয়ানসির ঘটনা।
সিন ইভানস নামের এক ইঞ্জিনিয়ার গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন। সিন জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক মহিলা প্রশাসনে যোগাযোগ করেন। জানান, তাঁর বাড়ি গ্যাসের গন্ধে ভরে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় সিনকে। সিন সেখানে গিয়ে দেখেন বাড়িটির মেঝের নীচে রয়েছে গ্যাসের পাইপ। কিন্তু গ্যাসের গন্ধ পেলেও কোথা থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছে তা বুঝতে পারছিলেন না কিছুতেই। পরীক্ষা করে দেখা যায় গোটা বাড়িতেই প্রচুর পরিমাণে গ্যাস জমে গিয়েছে।
এমন সময়েই লিকের উৎস খুঁজে বার করতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বাড়ির পোষা বিড়ালটি। মেঝেতে পাতা কার্পেটের একটি অংশ খামচাতে শুরু করে বিড়ালটি। কার্পেটের একাংশ কামড়াতেও থাকে বিড়ালটি। এর পরই কার্পেটের ওই অংশ পরীক্ষা করা শুরু করেন সিন। মেঝের টাইলস তুলতেই দেখা যায় ঠিক ওই জায়গাতেই গ্যাসের পাইপে রয়েছে ছিদ্র। সেখান থেকেই লিক হচ্ছে গ্যাস। সিন জানিয়েছেন, বাড়িতে এত বিপুল গ্যাস জমে গিয়েছিল যে, আগুনের সামান্য ফুলকিতেও বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারত। এমনকি ওই সময় যদি বাড়ির লোক ঘরে আলো জ্বালানোরও চেষ্টা করতেন, তাতেই ঘটতে পারত দুর্ঘটনা। শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে। আর তার জন্য পোষ্যটিকেই বাহবা দিচ্ছেন তিনি।