Mukesh Ambani's Anniversary Cake

চল্লিশতম বিবাহবার্ষিকীতে ৬ তলা কেক কাটলেন নীতা-মুকেশ! ৩০ কেজির সেই কেক কেমন ছিল?

মুকেশ এবং নীতার জন্য ওই কেকের নকশা করেছেন মুম্বইয়ের তারকা পেস্ট্রি রাঁধুনি বান্টি মহাজন। এর আগে নীতা এবং মুকেশের ৩৯তম বিবাহবার্ষিকীর কেকটিও বানিয়েছিলেন তিনি। সেই কেকও দেখতে হয়েছিল তাক লাগানো।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৯
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

বিয়ের ৪০ বছর পূরণ করলেন মুকেশ অম্বানী এবং তাঁর স্ত্রী নীতা অম্বানী। ১৯৮৫ সালের মার্চে চার হাত এক হয়েছিল দু’জনের। এ বছর মার্চে তাঁদের দ্বৈত সফর চার দশক পেরোল। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আত্মীয়দের নিয়ে একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন অম্বানীরা। সেই পার্টির কেকের ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সৌজন্যে তারকা পেস্ট্রি সেফের হাতে তৈরি কেকের বিশেষ নকশা। কারণ কেকটি একটি ছোট খাট অভয়ারণ্য। যেখানে বাঘ, হাতি, কুমির, সিংহ, জিরাফ— সবই আছে। আর সবই সোনালি রঙের!

Advertisement

মুকেশ এবং নীতার জন্য ওই কেকের নকশা করেছেন মুম্বইয়ের তারকা পেস্ট্রি রাঁধুনি বান্টি মহাজন। এর আগে নীতা এবং মুকেশের ৩৯তম বিবাহবার্ষিকীর কেকটিও বানিয়েছিলেন তিনি। সেই কেকও দেখতে হয়েছিল তাক লাগানো। তবে ৪০ বছরের কেক ভাবনাতেই চমকে দিয়েছে। কারণ এ বছর মুকেশ এবং নীতার কেকের ‘থিম’ বনতারা!

ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বন্যপশু সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে বনতারা তৈরি করেছেন মুকেশের কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত অম্বানী। গুজরাতের জামনগরে সেই বনতারার উদ্বোধন করেছেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।দেখা গেল বিবাহবার্ষিকীর কেকেও ছেলের স্বপ্নের প্রকল্পের প্রচার করেছেন অম্বানী দম্পতি। ইনস্টাগ্রামে সেই কেক বানানোর অভিজ্ঞতা জানিয়ে পেস্ট্রি শেফ বান্টি বলেছেন, ‘‘অম্বানী পরিবারের তরফে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেক হবে বনতারার কথা মাথায় রেখে। সেই মতো ৩০ কেজি ওজনের ছ’তলা কেক আমি সাজিয়ে দিয়েছিলাম ছোট ছোট পশু পাখির ফন্ড্যান্ট দিয়ে।’’

Advertisement

সাদা কেকের উপর সোনালি রঙের বাঘ-সিংহ-হাতি-জিরাফ আরও অনেক কিছু। পশু পাখির জন্যে কেকের বেস এমন ভাবে সাজানো হয়েছিল, যা দেখতে লাগছিল বালুর চরের মতো। কেকের এক একটি তলে এক এক রকম নকশা। কোথাও বাঘের ডোরাকাটা দাগ, কোথাও জংলী পাতার ছাপ, কেথাও চিতার গায়ের ছোপ। মাঝে মধ্যে রয়েছে গাছপালাও। তার মধ্যেই জোরা হাতি তাদের শুঁড় তুলে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে নীতা-মুকেশকে।

তবে শেষ মুহূর্তে বেশ কিছু বদলও আনতে হয় বান্টিকে। তিনি বলছেন, ‘‘নীতার প্রিয় রং গোলাপি। তাই আমাকে জানানো হয় কেকে কিছু গোলাপি রংও রাখতে হবে। সেই রং দেওয়ায় অবশ্য কেকটা দেখতে আরও ভাল দেখতে লাগছিল। পরে অম্বানী দম্পতি প্রশংসাও করেন কেকের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement