রান্নায় ডিম ব্যবহারের সময় ৫ ভুল করছেন না তো? ছবি: শাটারস্টক।
বাঙালি হেঁশেলে ডিম থাকবে না তাই আাবার হয় নাকি! বাড়িতে মাছ, মাংস বা তেমন শাকসব্জি না থাকলে ডিমের ডালনা, ডিমের ধোকা কিংবা ডিম পোস্ত করে নিলেই ভাতের থালা একেবারে সাফ! মধ্যবিত্তের সংসারে সস্তায় প্রোটিন খুঁজতে গেলেও থামতে হয় ডিমের কাছে। তবে এই ডিম রান্নার সময় অজান্তেই আমরা কিছু ভুল করে ফেলি, জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) বেকিংয়ের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডিম ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা ডিম ভুলেও ব্যবহার করবেন না। নইলে কিন্তু কেক বেকিংয়ের পর নরম হবে না। বেকিংয়ের প্রস্তুতির বেশ কিছু ক্ষণ আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বার করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে সেগুলি ব্যবহার করুন।
২) ডিম বেশি লাগে বলেই বাড়িতে ডজন ডজন ডিম কিনে রাখেন অনেকে। এই মরসুমে ফ্রিজে ভরে না রাখলে কিন্তু ডিমগুলি খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে একটা ডিম পঁচা বেরিয়ে যায়। তাই বাজার থেকে কিনে আনার পর একটি বড় গভীর পাত্রে ডিমগুলি ডুবিয়ে রাখুন। যে ডিমগুলি জলের উপরে ভাসবে সেইগুলি আদতে পঁচা, ব্যবহার না করাই ভাল।
৩) অল্প তেলে ডিমের অমলেট কিংবা পোঁচ রান্নার সময় কড়াইতে সেগুলি লেগে যায়। এগুলি রান্নার সময় ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন। ডিম সেদ্ধ করার সময় কানা উঁচু পাত্রের ব্যবহার করুন।
৪) ডিম সেদ্ধ করার সময় কত ক্ষণ ফোটাবেন তা ঠিক বুঝতে পারা যায় না। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম চাইলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করুন। তার পর গরম জলেই ডিমগুলি খানিক ক্ষণ রেখে দিন। ভাপেই সেগুলি সেদ্ধ হয়ে যাবে। বেশি ক্ষণ ধরে জলে ফোটালে কুসুমের স্বাদ বিগড়ে যায়।
৫) স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষই জলের মধ্যে ডিমের পোচ বানিয়ে খান। তবে বেশির ভাগ সময়ই সেই পোচের আকার বিগড়ে যায়। পোচ বানানোর সময় জলের মধ্যে সরাসরি ডিম ভেঙে না দিয়ে একটি বাটিতে ডিমটি আগে ভেঙে নিন। তার পর সাবধানে ওই ডিমটি ফুটন্ত জলে ঢেলে দিতে হবে।