একে প্যাচপেচে গরম, তায় বৃষ্টির দেখা নেই। ঘাম যেন গা থেকে শুকোতেই চায় না। পোশাক ঘামে ভিজে দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনই ঠান্ডা লেগে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। যাদের অফিস বা কলেজে যেতে রোজ বেরোতে হয় তাদের গরম কালে পোশাকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। প্রতি দিন বেরনোর সময় এই দিকগুলো খেয়াল রাখুন।
যাদের খুব বেশি ঘামার প্রবণতা থাকে তাদের অনেক সময়ই জামা ঘামে ভিজে ওঠে। বগল, পিঠ, বুকে এ রকম ঘামে ভেজা ছাপ খুবই অস্বস্তিকর। যে রঙের পোশাকে ঘামের দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেই সব রং এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সাধারণত নেভি ব্লু বা কালোর মতো গাঢ় রঙের পোশাকে ঘামের দাগ বোঝা যায় না। তেমনই আবার সাদা, ধূসর বা নীলের মতো হালকা রঙের পোশাকেও ঘামের দাগ স্পষ্ট হয় না। উজ্জ্বল রঙের পোশাকে ঘামের দাগ প্রকট হয়ে ওঠে। যে কোনও উজ্জ্বল রং গরম কালে দিনের বেলা এড়িয়ে চলুন। এক রঙের পোশাকের বদলে কোনও প্যাটার্ন থাকলে ঘামের দাগ ঢাকতে সুবিধা হবে। এক রঙের পোশাকে ঘামের দাগ যতটা প্রকট হয়ে ওঠে, চেক, স্ট্রাইপ বা কোনও প্রিন্ট থাকলে ততটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় না। গরম কালে পোশাকের ভিতরে অনেকেই ইনার পরার কথা ভাবতে পারেন না। এতে কিন্তু গরম লাগে। পুরুষ-মহিলা উভয়েই অবশ্যই পোশাকের ভিতরে সুতির ভেস্ট বা ইনার পরুন। পোশাকের লেয়ার থাকলে এয়ার পকেট তৈরি হয়। ফলে ঘাম কম হবে। ঘামে ভিজে পোশাক নষ্টও হবে কম। গরমে স্পোর্টস টি-শার্ট পরেন অনেকেই। এই সব টি-শার্টে এমন ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয় যা খুব সহজে ঘাম ত্বকের উপরি ভাগে নিয়ে আসে। ফলে ঘাম শরীরে বসে না। গরমে এই ধরনের পোশাক পরতেই পারেন। গরমে একমাত্র বগল থেকেই ঘাম হয় না। হাত, পা-ও ঘামে। এমন জুতো পরবেন না যাতে পা ঘামে। রোদে ট্যান হওয়ার ভয়ে অনেকেই এই সময় পা ঢাকা জুতো পরেন। এমন জুতো পরুন যাতে পায়ে হাওয়া লাগে। পা বন্ধ থাকলে গরমও বেশি লাগবে। মোজা পরলে অবশ্যই সুতির মোজা পরুন। নাইলনের মোজা একেবারেই চলবে না।
আরও পড়ুন: অসুখ থেকে দূরে থাকতে বাড়িতেই তৈরি করুন এই টয়লেট ক্লিনার
গরম কালে আন্ডারওয়্যার ও লঁজারি অবশ্যই সুতির হওয়া মাস্ট। এতে ঘাম যেমন কম হবে, ঘামের থেকে জীবাণু ছড়িয়ে ইনফেকশনের ভয়ও থাকবে না। আবার গায়ে গন্ধও হবে না।