পিছনে কি ‘আনন্দ তত্ত্ব’? ছবি-প্রতীকী
মলদ্বারে প্লাস্টিকের বল ঢুকিয়ে বিপত্তি বাধালেন ৫১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। জর্ডনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির দাবি, অর্শের সমস্যা ছিল তাঁর। সেই সমস্যা সমাধান করতেই এই কীর্তি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দু’দিন পর হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বার করতে হয় সেই বল। যদিও অর্শের কোনও লক্ষণ দেখতে পাননি চিকিৎসকরা।
ওই ব্যক্তি চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই বলটি নিজের মলদ্বারে ঢুকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর আর বলটি বার করা সম্ভব হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, স্ক্রু-ড্রাইভার ও চামচ ব্যবহার করেও বলটি বার করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোনও প্রচেষ্টা সফল না হওয়ায় ‘প্রিন্সেস বাসমা টিচিং হসপিটাল’ বলে ইরবিদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
অস্ত্রোপচার করে প্রায় ৭ সেন্টিমিটার ব্যাসের বলটি বার করা হয়। ছবি- সংগৃহীত
গোটা ঘটনার কথা ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সার্জারি কেস রিপোর্ট’ নামের একটি বিজ্ঞানপত্রে লিখেছেন চিকিৎসকরা। জানিয়েছেন, প্রথমে রোগীকে শুইয়ে রেখে পা উপরের দিকে তুলে ধরেন চিকিৎসকরা। তার পর অনেকটা পিচ্ছিলকারক পদার্থ মলদ্বারে ঢেলে হাত দিয়ে বলটি বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হয়নি সে চেষ্টাও। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে প্রায় ৭ সেন্টিমিটার ব্যাসের বলটি বার করা হয়। ওই ব্যক্তি অর্শের কথা বললেও কোনও রোগলক্ষণ দেখতে পাননি চিকিৎসকরা। তাঁদের ধারণা যৌন আনন্দ পাওয়ার জন্যই এ হেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু লজ্জায় তা বলতে পারছেন না। এই ক্ষেত্রে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে গেলেও এই ধরনের কাজ এতই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে যে, প্রাণ নিয়ে টানাটানি হওয়াও অস্বাভাবিক নয় বলেই মত চিকিৎসকদের।