আপনি কি অনেক দিন ধরেই রোগা হওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন? ডায়েট খাবার, লো ফ্যাট মিল্ক, সুগার ফ্রি সবই খাচ্ছেন, অথচ কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। কারণ, এই সব প্রচলিত ডায়েট ফুড আসলে সব ছদ্মবেশী জাঙ্ক ফুড।
ওজন বাড়ার জন্য আমরা হাই-ফ্যাটযুক্ত খাবারকেই ভিলেন মনে করি। কিন্তু ডায়েট খাবারের মধ্যে থাকে কিছু কৃত্রিম সুইটেনার যা পরোক্ষ ভাবে ওজন বাড়িয়ে দেয়। এই গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার গবেষকরা একদল ইঁদুরকে প্রথমে লো-ফ্যাটযুক্ত ডায়েট ফুড খেতে দেন। তারপর গবেষণার দ্বিতীয় দফায় তাদের ইঁদুরের স্বাভাবিক ডায়েট দেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে তাদের শরীরে শুধু মেদই বাড়ায়নি, সেই সঙ্গে লিভারের ক্ষতিও করেছে। মস্তিষ্কে প্রদাহের মতো সমস্যাও হয়েছে।
এই গবেষণার মুখ্য গবেষক ক্রিজফ জাজা বলেন, ‘‘বেশির ভাগ ডায়েট প্রডাক্টেই লো-ফ্যাট থাকে বা ফ্যাট থাকে না। তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে বেশি পরিমাণ চিনি ব্যবহার হয়ে থাকে। যা অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি ও লিভার নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।’’
আরও পড়ুন: পেটে অস্বস্তি? মেনে চলুন তিন দিনের এই সহজ ডিটক্স ডায়েট
এর পরের পরীক্ষায় গবেষকরা ৩ দল ইঁদুরের উপর গবেষণা করেন। প্রথম দলকে দেওয়া হয় হাই ফ্যাট সুগার ডায়েট, দ্বিতীয় দলকে দেওয়া হয় লো-ফ্যাট, হাই সুগার ডায়েট ও তৃতীয় দলকে স্বাভাবিক রডেন্ট ডায়েট দেওয়া হয়। চার সপ্তাহ পর দেখা যায়, যাদের লো-ফ্যাট, সুগার ডায়েট দেওয়া হয়েছিল তাদের ওজন সবচেয়ে বেশি বে়ড়েছে। এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার হাই-ফ্যাটযুক্ত ডায়েট ঠিক যতটা ক্যালোরি থেকে যতটা ওজন বাড়তে পারে, এই ডায়েটে তার অর্ধেক পরিমাণ ক্যালোরিতেই সেই পরিমাণ ওজন বেড়ে যায়। এমনকী, এই দলের ইঁদুরদের লিভারে ফ্যাটও জমেছে সবচেয়ে বেশি। যা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের অন্যতম লক্ষণ। আবার এই ডায়েট আনব্যালান্সড হওয়ার কারণে খাদ্যনালী ও মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করেছে।
সাইকোলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।