Durga Puja Celebration 2024

লন্ডনের পুজোয় চন্দননগরের আলোর সাজ, শারদীয়ায় বাংলার সংস্কৃতির উদ্‌যাপন বিদেশের মাটিতে

লন্ডনের পুজোর আলোর সাজের দায়িত্ব চন্দননগরের। হুগলি নদীর তীরের শহর থেকে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে আলো। পুজোর আবহে প্রবাসের সঙ্গে দৃঢ় হল বাংলার সম্পর্ক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৮
Share:

লন্ডনের হেরিটেজ ভবন।

পৃথিবীর ম্যাপ অনুযায়ী দু’টি জায়গার মাঝে কয়েক যোজন দূরত্ব। তবে সেই ভৌগলিক দূরত্ব কোনও ভাবেই বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। দুর্গাপুজোর আবহে মিলেমিশে একাকার লন্ডন এবং চন্দননগর। প্রবাসের পুজো সেজে উঠেছে হুগলি নদীর তীরের এই শহরের আলোকসজ্জায়। লন্ডনের এই পুজোর আয়োজোক ‘বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’। লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিরা এর সদস‍্য। তাঁদের উদ‍্যোগ আর পরিশ্রমেই প্রতি বছর এই পুজোটি হয়। এ বছর পুজোর বয়স হল ষোলো। প্রতি বছর লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রথম বার সে দেশের ঐতিহ্যবাহী ঠিকানা ‘হেরিটেজ ভবন’-এ পুজো হচ্ছে। আর সেই ভবনের দেওয়ালেই ঝুলছে চন্দননগরের বাহারি আলো। পুজো উদ‍্যোক্তাদের তরফে লন্ডন নিবাসী অনিকেত পাত্র বলেন, ‘‘এ বছর বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর ঐতিহ‍্যের কথা মাথায় রেখেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। চন্দননগরের আলোয় এই উৎসব আরও রঙিন হয়ে উঠবে বলে আশা রাখি।

Advertisement

ছবি: সংগৃহীত।

এখানকার পুজোয় বিদায়ের সুর। কিন্তু লন্ডনে পুজো সবে শুরু। সপ্তাহান্তে পুজো হবে। তবে আয়োজন শুরু হয়েছে আগে থেকেই। চন্দননগরের ‘সরকার ইলেকট্রিক্যালস’-এর আলো পৌঁছে গিয়েছে সেখানে। আলোর নকশায় রয়েছে বাংলা সংস্কৃতির ছাপ। আলপনা নকশা করা আলোয় ভরে উঠবে চারপাশ। এ ছাড়াও হিন্দু দেব-দেবীর অবয়ব ফুটে উঠবে আলোর সাজে। তবে পুজোর উদ‍্যোক্তারা নিজেরাই আলো দিয়ে সাজিয়ে নেবেন পুজোর বাড়ি। কারণ চন্দননগর থেকে অত দূরে কোনও শিল্পী যেতে পারেননি। অগত্যা আয়োজকেরাই আলো দিয়ে সাজিয়েছেন গোটা ভবন। চন্দনগরের আলোর জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত। তবে এ বার এই শিল্পের ঝুলিতে যোগ হল নতুন প্রাপ্তি। পাশাপাশি, বাংলার সঙ্গে লন্ডনের গাঁটছড়াও বাঁধা হয়ে গেল। লন্ডনের পুজোয় চন্দননগরের আলোর সাজ, শারদীয়ায় প্রবাসের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক দৃঢ় হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement